

রবিবার ● ২৮ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মনপুরায় জব্দকৃত ৯৪ ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরন
মনপুরায় জব্দকৃত ৯৪ ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরন
মনপুরা প্রতিনিধি: মনপুরা উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন হাওলাদার বিতরনকৃত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ৮০৮টি কার্ডের মধ্যে ভুয়া ৯৪টি ভিজিডি কার্ড জব্দ করেন। জব্দকৃত সকল কার্ড যাছাই-বাছাই শেষে প্রকৃত কার্ডধারী মহিলাদের নিকট হস্তান্তর করেন ও ৪ মাসের ভিজিডি কার্ডের ৩০ কেজি করে চাউল বিতরন শুরু করেন। শনিবার হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের জব্দকৃত ৯৪টি ভিজিডি কার্ডের মধ্যে যাছাই-বাছাইকৃত ৫৩টি কার্ডের ৪ মাসের চাউল বিতরন করা হয়েছে। চাউল বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা, হাজির হাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন হাওলাদার, ট্যাগ অফিসার মোঃ হারুন, ইউপি সচিব মোঃ ইয়াজউদ্দিন সিরানসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যগন। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, জব্দকৃত ভিজিডি কার্ড যাদের কাছে বিতরন করা হয়েছে তাদের নামের সাথে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে কার্ডের নামের সাথে অনলাইনে দেওয়া নামের কোন মিল নেই। কার্ডের নাম ও জাতীয় পরিচয় পরিচয় পত্রে নাম ও অন লাইনে যাদের নিবন্ধন করা হয়েছে তাদের নাম মিল না থাকায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ৯৪টি ভিজিডি কার্ড জব্দ করেছেন। শনিবার সরজমিনে হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় ৮ নং ওয়ার্ডের যাছাইকৃত ভিজিডি কার্ড পাওয়া আমেনা বেগম এর সাথে। আমেনা বেগম বলেন, আমার নামের কার্ড সুফিয়া বেগম নামের এক মহিলা চাউল খেতেন। গত ৫ মাসের আমি আমার কার্ড পাইনি চাউল ও পায়নি। বর্তমানে হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন হাওলাদার খোঁজ করে আমাকে আমার কার্ডটি ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং ৪ মাসের ৩০ কেজি করে চাউল দিয়েছেন। কার্ড ও চাউল পেয়ে আমি খুব খুশি। একই কথা বলেছেন ৯ নং ওয়ার্ডের লাইজু বেগম, ৫নং ওয়ার্ডের হাফসা বেগম।
এব্যাপারে হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে অনলাইনে ভিজিডি কার্ডের নামের সাথে মিল না থাকায় আমি ভুয়া ৯৪টি ভিজিডি কার্ড জব্দ করি। কর্তপক্ষের সাথে আলাপ করে ভুয়া কার্ডগুলো যাছাই-বাছাই করে প্রকৃত কার্ডধারী মহিলাদের নিকট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে হাস্তান্তর করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে যাছাইকৃত ৫৩টি কার্ডের চাউল বিতরন করেছি। অবশিষ্ট ভিজিডি কার্ডগুলো এখনও যাছাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাছাই শেষে প্রকৃত কার্ডধারীর মধ্যে কার্ডগুলো হস্তান্তর করা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা বলেন, হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভুয়া কার্ডের বিষয় আমাকে অবহিত করা হয়েছে। অনলাইনে যাদের ভিজিডি কার্ডের নিবন্ধন করা হয়েছে জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে মিলিয়ে নাম ঠিকানা সঠিক করে জব্দকৃত কার্ড যাছাই-বাছাই করে কার্ড ও চাউল বিতরন করার নির্দেশ দিয়েছি।
-ছালাহ/রাজ