

শনিবার ● ২৭ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » দৌলতখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত-১
দৌলতখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত-১
দৌলতখান প্রতিনিধি: দৌলতখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে খোরশেদ আলম টিটু (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামের মৃত তছির আহমেদের ছেলে এবং সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। শুক্রবার বিকালে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের নাছির মাঝি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে। সেখানে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন সকেট গ্রুপ ও ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নান্নু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নান্নু ডাক্তারের সমর্থক যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু ডাক্তারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চেয়ারম্যান নান্নু অনুষ্ঠান শেষে ভোলা শহরে ফেরার পথে নাছির মাঝি এলাকায় একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সকেট জামাল গ্রুপ ও নান্নু ডাক্তার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নান্নু ডাক্তারের সমর্থক টিটু মারা যান। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নান্নু ডাক্তার জানান, তাদের অনুষ্ঠান শেষে মিছিল করার সময় সকেট জামালের নেতৃত্বে তার লোকজন স্প্রিটবোটযোগে মোহড়া দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে টিটু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। নিহত যুবলীগ নেতা টিটুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন সকেট এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না, কিছু জানিও না।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে টিটু হ্ত্যার বিচারের দাবীতে রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের সকল অংগ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা এ হত্যাকান্ডের সাথে যিনি বা যারা জড়িত তাদের দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।