

মঙ্গলবার ● ২ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খেলা » মাঠে দাঁড়াতেই পারল না বাংলাদেশ
মাঠে দাঁড়াতেই পারল না বাংলাদেশ
ডেস্ক: চলতি বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের মিশনে মাঠে নেমে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৪ রানে থমকে গেছে টাইগারদের ইনিংস। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে দেখেশুনে খেলছিলেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। দলীয় ২২ রানে নাঈমের বিদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের শিবিরে উইকেটের মড়ক। একে একে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে রানের খাতা খোলার আগে ডাগআউটে ফেরেন সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, নাসুম আহমেদ। দলের হয়ে ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে মাহেদী হাসানের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ করেন লিটন। আর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করেন অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী। তিনি আউট হন ১১ রানে। এ ছাড়া নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান আর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ করেন ৩ রান। শেষ পর্যন্ত নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাউথ আফ্রিকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা ও আনরিক নরটিয়া। দুটি উইকেট যায় তাবরেইজ শামসির ঝুলিতে আর একটি উইকেট নেন ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস। দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য মাত্র ৮৫ রানের। বোলারদের মিরাকল কিছু করতে হবে এই ম্যাচ জিততে হলে। শুরুটা অবশ্য দারুণই করেছেন তাসকিন-মেহেদিরা। ৩৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। তাসকিন দারুণ বোলিং করছেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন এই গতিতারকা। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রিজা হেনড্রিকসকে (৪)। এরপর ২২ রানের একটি জুটি হয়েছিল কুইন্টন ডি কক আর ভ্যান ডার ডাসেনের মধ্যে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সেই জুটিটি ভাঙেন শেখ মেহেদি। ১৫ বলে ১৬ করা ডি কককে বোল্ড করেন এই অফস্পিনার। পরের ওভারে তাসকিনের আবারও আগুনে বোলিং। ওই ওভারে প্রথম তিন বলে এক রান দেওয়ার পর চতুর্থ বলে দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে এইডেন মার্করামকে পরাস্ত করেন তাসকিন। অনেকটা ভেতরে ঢুকে যাওয়া বল বুঝতে না পেরে ব্যাটটাই হাত থেকে ছুটে যায় মার্করামের। হতে পারতো হিটউইকেট কিংবা ইনসাইডেজে ক্যাচ। বেঁচে যান মার্করাম। তবে পরের বলটিতে তাসকিন আর বাঁচতে দেননি প্রোটিয়া ব্যাটারকে (০)। এবার তার দারুণ ডেলিভারি ঠিক টেস্টের মতো ডিফেন্স করতে গেলে বল চলে যায় স্লিপে। সুযোগ হাতছাড়া করেননি নাইম শেখ। এর আগে আবুধাবিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ৩৪ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ৮৪ রানে। অথচ ওপেনিং জুটিতে ইতিবাচকই মনে হচ্ছিল নাইম শেখ আর লিটন দাসকে। সেই ইতিবাচকতা অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। ২২ বলে ২২ রানের জুটি গড়েই সাজঘরের পথ ধরেন নাইম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে কাগিসো রাবাদাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ হন এই ব্যাটার (১১ বলে ৯)। পরের বলে আউট সৌম্য সরকারও। রাবাদার দুর্দান্ত এক ইয়র্কার ডেলিভারি মিস করে প্যাডে লাগে বাঁহাতি এই ব্যাটারের। আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন সৌম্য। এরপর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু মুশফিক আরও একবার হতাশাই উপহার দিয়েছেন। নিজের আগের ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট পাওয়ায় রাবাদার হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম দুই বল কোনোমতে সামলান মুশফিক। কিন্তু তৃতীয় বলে ঠিকই উইকেট দিয়ে আসেন।
-রাজ