ভোলায় জমে উঠেছে কোরবানির হাট

এইচ এম নাহিদ: আর কয়েক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। এরই মধ্যে জমে উঠেছে ভোলার সদর উপজেলার কোরবানির পশুর হাটগুলো। ভারতীয় গরু না আসায় এবার দাম কিছুটা বেশি হলেও দেশি গরু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। ঈদে পশু কোরবানি দিতেই ভোলার বড় বড় গরুর-ছাগলের হাটগুলো এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরগমে মুখরিত।
হাটগুলোতে বড় এবং মাঝারি সাইজের দেশী গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও দাম আকাশচুম্বি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। দাম চড়া থাকায় গকিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম দিগুণ বলে অভিযোগ অনেক ক্রেতাদের।
হাট ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবচেয়ে ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা, এর থেকে একটু বড় অর্থৎ মাঝারি সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজারে আর বড় সাইজের ১ লক্ষ থেকে উপরে। পশু খাদ্যের দাম ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। এতে নিম্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কোরবানির পশু কিনতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ছাগলের বাজার কিছুটা বাড়লেও তা সাধ্যর মধ্যে আছে বলে জানায় অনেক ক্রেতা। তবে দু’একদিন পরেই সরবরাহ বেশি হলে দাম নেমে আসবে বলেও মনে করছেন তারা। বিক্রেতারা বলছেন পশু খাদ্যের দাম বেশি, তাই বাধ্য হয়েই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোলা সদরের গরুর হাট, ইলিশর হাট,ব্যাংকের হাট, ভেলুমিয়া বাজারের গরুর হাটগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে দেশীয় গরু, ছাগলের সমারোহ।
এব্যাপারে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, হাটে নির্ভিগ্নে ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে সহজেই কেনা-বেচা করতে পারেন সে জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও অনেক হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন দেয়া হয়েছে। হাট বাজার, ফেরি ও লঞ্চঘাট গুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, কয়েকদিন পরে সরবরাহ বেড়ে গেলে কোরবানির পশুর দাম অনেকটা কমে যাবে এমন প্রত্যাশাই করছেন ক্রেতারা।
-এফএইচ