বৃহস্পতিবার ● ১ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় » বোরহানউদ্দিন রুটে জাহিদ-৭ লঞ্চের নাজুক অবস্থা, দূর্ঘটনার আশংকা
বোরহানউদ্দিন রুটে জাহিদ-৭ লঞ্চের নাজুক অবস্থা, দূর্ঘটনার আশংকা
আব্দুল মালেক: ঢাকা-বোরহানউদ্দিন নৌ রুটে নানা সমস্যা নিয়ে যাত্রী পারাপার করছে এম ভি জাহিদ-৭ লঞ্চটি। লঞ্চটি একে বারে জড়াজীর্ণ, পিছনের দিকে বড় ধরনের ফাটল নিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী পারাপার করে যাচ্ছে। আর কোন লঞ্চ না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়ে যাত্রীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ লঞ্চে যাতায়াত করছে। চলমান বৈরি আবহাওয়া এ লঞ্চটির যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন যাত্রীরা। যাত্রীরা এ রুট থেকে এ লঞ্চটি দ্রুত সরিয়ে বড় লঞ্চ দেয়ার জোরালো দাবী জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন যাবত নানা সমস্যা নিয়ে এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চটি যাত্রী পারাপার করে যাচ্ছে। লঞ্চের পিছনে বড় ধরণের ফাটল সহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল রয়েছে। আর লঞ্চের ভিতরের অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়ছে। এসকল সমস্যা সমাধান না করেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রশাসন কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে দীর্ঘ দিন যাত্রী পারাপার করে আসছে। আর সাধারণ যাত্রীরাও বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ লঞ্চে যাতায়াত করছে। কারণ লঞ্চটির নাজুক অবস্থা দেখে আতঙ্ক নিয়ে যাত্রীরা রাত জেগে বসে থাকেন।
স্থানীয় ও পৌর বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, যাত্রী সেবায় বোরহানউদ্দিন আধুনিক মানের লঞ্চ টার্মিনাল হলেও যাত্রীসেবায় নেই বড় ধরণের লঞ্চ ব্যবস্থা। তাই আমরা অনেকে এ লঞ্চের নাজুক অবস্থা এবং এ রুটে ছোট লঞ্চের কারনে হাকিমউদ্দিন ও ভোলা সদর দিয়ে ঢাকায় আসা যাওয়া করতে হয়।
তারা বলেন, বোরহানউদ্দিনবাসীর সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা করে যাতে এ রুটে বড় লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়। এ উপজেলায় ২২৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলমান, আর দুইটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলমান রয়েছে। তার কারনে বিদেশী লোকজন এ উপজেলায় আসতে হয়। কিন্তু ছোট লঞ্চের ভয়ে তারা হাকিমউদ্দিন ও ভোলা লঞ্চ যোগে আসেন। প্রয়োজনে বোরহানউদ্দিন খাল খনন করে হলেও বড় লঞ্চে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন। আর বড় লঞ্চ না দিলে এ রুটটি দিয়ে মানুষ যাতায়াত একেবারেই বন্ধে করে দেয়ারও সংশয় প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে গত সোমবার লঞ্চটির নাজুক অবস্থা নজরে আসে উপজেলা প্রশাসনের। পরে তারা লঞ্চটি মেরামত ছাড়া যাত্রী উঠা নামা করতে নিষেধ করেন এবং বিষয়টি বিআইডিব্লিউকে অবহিত করেন। পরে ভোলা বিআইডব্লিউটি কর্মকর্তার এসে ৭ দিনের মধ্যে লঞ্চটি মেরামত করে ফিটনেস উপযোগী করে লঞ্চ চালানোর নির্দেশ দেন। এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন পৌর ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির পালোয়ান বলেন, এ লঞ্চটির পিছনের অংশ সহ আশ পাশে বড় ধরনের ফাটল রয়েছে। যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ লঞ্চে উঠছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি এ লঞ্চের বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলেও তিনি জানান। ছোট ছোট লঞ্চ গুলো সরিয়ে এ রুঢে বড় লঞ্চ দেয়ার দাবীও জানান তিনি।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি অফিসার খালেদা খানম রেখা বলেন, লঞ্চ ঘাটে গিয়ে লঞ্চটির নাজুক অবস্থা দেখে বিষয়টি বিআইডব্লিউটিকে অবহিত করেছি। এ অবস্থায় এ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে চলাচলে অনুপোযোগী। তারা তাৎক্ষণিক এসে লঞ্চ স্ট্যাফ কে ৭ দিনের সময় বেধে দিয়েছে লঞ্চ মেরামত করার জন্য।
-এফএইচ