শনিবার ● ১ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মুখে হাসি
সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মুখে হাসি
বিশেষ প্রতিনিধি: ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে নতুন জামা পড়ে বড় ছোট সকলের নামাজ আদায়, ঘুড়ে বেড়ানো। তবে সব শিশুর কপালে থাকে না নতুন পোষাক পড়ে ঈদের নামাজ আদায় কিংবা ঘুরে বেড়ানো। আমারা আমাদের আশে পাশে এমন অনেক শিশুই দেখি যারা রাস্তায় ঘুরে, যাদের পরিবারের হদিস নেই কিংবা আর্থিক অসঙ্গতির জন্য বাবা মা পাড়ে না তার সন্তানকে ঈদে নতুন জামা কিনে দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি ফুটাতে।
তাই ‘নতুন পোষাকে ঈদ আনন্দ,তোমাদের হাসিতে আমাদের আনন্দ’ স্লোগানকে সামনে রেখে ভোলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেছে সামাজিক সংগঠন “ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ” নামের একটি সংগঠন।
শনিবার সকালে ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় এই ঈদ বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেন ভোলা জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউনুছ, ভোলা সদর থানা ওসি ছগির মিঞা, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, রাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবিদুল আলম, ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ সংগঠনের প্রধান অদিল হোসেন তপু, সদস্য সাদ্দাম হোসেন, ফাহাদ, নোমান, মিম, সানজিদা এশা প্রমুখ।
ঈদবস্ত্র পয়ে খুশি শিশুরা। তারা আনন্দে আত্মহারা। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু লিয়া, মিথিলা, ফাহিম, হৃদয়,লুবনা জানান, আর পুরোনো জামায় ঈদ করতে হবে না। অন্যের জামার দিকে তাকিয়েও থাকতে হবে না। আমি নিজেই ঈদে এবার নতুন জামা পড়বো। জামা পড়ে ঘুড়তে যাবো,অন্যদেরও আমার নতুন জামা দেখাবো।
এমন উদ্দ্যেগকে স্বাগত জানান অতিথিরাও।
তারা বলেন, এধরনের উদ্দ্যেগ প্রশংনীয়। এই সংগঠনটি শতাধিক শিশুর মুখে ঈদে হাসি ফুটিয়ে তুলেছে। যদি আমাদের সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসে তবে সব সুবিধা বঞ্চিত শিশুই ঈদে নতুন জামা পড়বে প্রতিবার।
“ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ” সংগঠনের সংগঠন প্রধান সাংবাদিক ও সংগঠক আদিল হোসেন তপু বলেন, ঈদে শিশুর গোমরা মুখ দেখতে চাই না। তাই এ আয়োজন আমরা অন্তত শতাধিক শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি এতেই তৃপ্ত। সামনের বছরগুলোতে চেষ্টা করবো সংখ্যাটা আরো বাড়াতে। তাই বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
-এএইচটি/এফএইচ