রবিবার ● ১২ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনে অসহায় বিধবার আকুতি শুধু একটি ভাঁতা চায় !
লালমোহনে অসহায় বিধবার আকুতি শুধু একটি ভাঁতা চায় !
এমআর পারভেজ, লালমোহন: আর সংসার চালাইতে পারিনা, ছয় মেয়ে সান্তানের ভরণ পোষণের দায়িত্ব মা হয়ে আর কত কাল কষ্ট করতে হবে জানিনা, খেয়ে না খেয়ে অনাহারে জীবন সংগ্রাম করে আর কত কাল বাচতে হবে। সরকারী ভাবে কত সুযোগ সুবিধা মানুষ পাই। আর আমি এত কষ্ট করেও কোন সুবিধা একটি ভাতা আমাদের ভাগ্য জোটে না। যে কোন একটি ভাঁতা চাই স্যার! আক্ষেপের সহিত কথাগুলো বলেছেন, ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জের পূর্বচরউমেদ ৭ নং ওয়ার্ডের ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির মৃত জামাল উদ্দীনের অসহায় ও দারিদ্র বিধবা স্ত্রী ছয় কণ্যা সন্তানের জননী ছলেমা বেগম।
তিনি জানান গত ৫ ডিসেম্বর ২০১২ ইং সালে তার স্বামী ছয় কন্যা সন্তানের জনক ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যু আগে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ভাবে অনেক টাকা ব্যয় করার পর ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকা, বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে এতে সহায় সম্বল ভিটে মাটি বিক্রি করে ও বাঁচাতে পারিনি জামালকে। তার রেখে যাওয়া ছয় কণ্যা সন্তান নিয়ে এখন নিঃস্ব, পরের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে দু’ কণ্যাকে বিয়ে দিলেও তারাও সুখে নেই। আমার দেখতে হয় তাদের, শুনেছি সরকারী ভাবে বিধবা ভাঁতা দেওয়া হয় কিন্তু আমি লালমোহনের ইউএসও স্যারের কাছে দরখাস্ত করেও কোন ভাঁতা জোটেনি আমার ও ৬ সন্তানের কপালে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিধবা ছলেমা ভাতা পাওয়ার জন্য ৫/২/২০১৮ ইং তারিখে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামসুল আরিফের বরাবর একটি আবেদন করার পর তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে ভাঁতা প্রাপ্তির জন্য সুপারিশ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ইউএনও ‘র সুপারিশ বা অনুরোধের গুরুত্ব দেননি উনিয়নের চেয়ারম্যান। আজ পর্যন্ত কোন ভাঁতার আওতায় আসেনি বিধবা ছলেমা বেগম। সরকারের দেওয়া বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, এমনকি ১০ টাকা কেজি দরের চালের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত অসহায়, দারিদ্র বিধবা ছলেমা বেগম।
তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য, জন প্রতিনিধি এবং কর্তৃপক্ষের নিকট সু- দৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মোস্তফা মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তাকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
-এফএইচ