শনিবার ● ২২ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলার ৪টি আসনেই প্রচারণায় ব্যস্ত নৌকা, বাসায় অবরুদ্ধ ধানের শীষের ৩ প্রার্থী
ভোলার ৪টি আসনেই প্রচারণায় ব্যস্ত নৌকা, বাসায় অবরুদ্ধ ধানের শীষের ৩ প্রার্থী
ডেস্ক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোলার নির্বাচনী মাঠ। ভোলার চারটি আসনেই আ’লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা প্রকাশ্য নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, গণসংযোগ চালিয়ে গেলেও ভোলা-১ (সদর) আসনের ঐক্যফন্টের মনোনীত প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর ছাড়া অন্য তিনটি আসনের ঐক্যফন্টের মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থীরা নিজেরে বাসায় অবরুদ্ধ থাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগ করতে পড়ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ওই সকল প্রার্থীরা। ঐক্যফন্টের মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থীরা নিজেরে বাসায় অবরুদ্ধ রয়েছেন ভোলা-২ (দৌলতখান- বোরহানউদ্দিন) আসনের প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহীম, ভোলা-৩(লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের প্রার্থী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ বীর বিক্রম পৃথক পৃথক ভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন। এছাড়া ভোলা-৪ আসনের ঐক্যফন্টের মনোনীত প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলমও নিজ বাসায় অবরুদ্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, তাকে নিজে বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য এলাকায় আসলে তাকে লঞ্চ থেকে নামতে বাধাঁ দেয় এবং আ‘লীগ নেতা কর্মীরা হামলা করে তার বহু নেতা কর্মীকে আহত করেছে, বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে।তিনি আসার পর দুটি মামলায় বিএনপির ৭ শতাধিক নেতা কর্মীকে আসামী করে তার বহু নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আতংকে বিএনপি নেতা কর্মীরা এলাকা ছাড়া।তার বাসার দরজা জানালা ইট পাটকেল মেরে ভাংচুর করা হয়। ডিসি, এসপি, ওসি সহ প্রশাসনের নিকট ২৪ টি অভিযোগ দিলেও তিনি কোন সহযোগীতা পাননি বলে অভিযোগ করেন।বর্তমানে তিনি বাসায় অবরুদ্ধথাকা প্রচারণায় বের হতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকা থেকে লালমোহনের উদ্দেশ্য রওয়ানা হওয়ার পর সদর ঘাটে তার বহন করা লঞ্চে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা করে লঞ্চের ৪০টি কেবিন ভাংচুর করা হয় এবং তারা নেতা কর্মীদের আহত করা হয়। পরে তিনি যাত্রা বিরতি করে পরে পুলিশী পাহাড়ায় পুনরায় এলাকায় আসেন।তাকে ৪০ হাজার বিএনপির নেতা কর্মীরা অভ্যর্থনা জানিয়ে নেতা কর্মীরা বাড়ি ফিরার পথে আ‘লীগের নেতা কর্মীদের হামলায় শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়। বাড়ি ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। মিথ্যা মামলায় তার অনেক নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।এখনো বিএনপির নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকী দেয়া হয়। তার বাসায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তিনি বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।কোথাও কোন প্রচারণায় যেতে পারছেন না।তার নেতা কর্মীদের উপর এখনো হামলা অব্যাহত আছে। কোন মামলা ওয়ারেন্ট না থাকা সত্বেও তার কর্মীদের ঢালাও গ্রেফতার করছে পুলিশ।
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাজিম উদ্দীন আলম অভিযোগ করেন তিনি এলাকায় ফিরে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন থেকে তার নেতা কর্মীরা বাসায় ফিরার পথে আ‘লীগ নেতা কর্মীদের হামলার কবলে পড়লে বহু নেতা কর্মী আহত হয়। তার বাসা ভাংচুর করে তছনছ করে আ‘লীগ নেতা কর্মীরা। তার প্রচারোর মাইক ভাংচুর করা হয়। তিনি গণসংযোগে বাহির হলে তাকে বাধাঁ দেয়া হয়।তিনি কোথাও যেতে পারছেন না। বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বলেও অভিযোগ করেন।
-বিএন/এফএইচ