মঙ্গলবার ● ২৪ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » রেকর্ড গড়ে শপথ নিলেন আবদুল হামিদ
রেকর্ড গড়ে শপথ নিলেন আবদুল হামিদ
ডেস্ক: প্রথমবারের মতো টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়লেন মো. আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে আবদুল হামিদকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শপথ মঞ্চ থেকে নেমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ রাষ্ট্রপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জু, ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিকানের দূত জর্জ কোচেরি, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপপো।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ উপলক্ষে লাল-সবুজ বাতিতে সাজানো হয় পুরো বঙ্গভবন। বঙ্গভবনের ভেতরটা সাজানো হয় নানা রকম ফুল দিয়ে।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ জন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে আবদুল হামিদই প্রথম যিনি টানা দ্বিতীয় বারের মতো দায়িত্বপালনের জন্য শপথ নিলেন।
সংবিধানে সর্বোচ্চ দুই বার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার সুযোগ থাকায় এটিই হবে আবদুল হামিদের শেষ মেয়াদ। এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন আবদুল হামিদ।
দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেরার পর ১৯৯১ সালে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হয়েছিল। এরপর সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন।