মঙ্গলবার ● ২০ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলা-ঢাকা রুটে আদালতের আদেশ মানছেনা লঞ্চ কর্তৃপক্ষ
ভোলা-ঢাকা রুটে আদালতের আদেশ মানছেনা লঞ্চ কর্তৃপক্ষ
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চ রোটেশন বন্ধ করে প্রতিদিন ভোলা খেয়াঘাট থেকে ৪টি এবং ঢাকা সদর ঘাট থেকে ৪ টি করে এই রুটে মোট ৮টি লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার (১৮ মার্চ) ভোলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামন এই আদেশ দিয়েছেন অথচ ১৯ মার্চ ও এআদেশ কার্যকর হয়নি। বিআইডব্লিউটিএ’র ভোলাস্থ কর্মকর্তা মো. নাসিম সোমবার এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন আদালতের আদেশের খবর লঞ্চ মালিকরাও জানেন তারপর ঘাট কর্মকর্তা হিসেবে তিনি লঞ্চ মালিকদের প্রতিদিন ভোলা খেয়াঘাট থেকে ৪ টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু মালিকরা তার কথা শুনছেননা। বিআইডব্লিউটিএ’র ভোলাস্থ কর্মকর্তা মো. নাসিম জানান ভোলা-ঢাকা ঢাকা- ভোলা রুটে এমভি কর্নফুলি-৪, ৯, ১০, ১১, এমভি ভোলা, এমভি ক্রিস্টাল ক্রুজ, এমভি গ্লোরী অব শ্রীনগর-৭ ও এমভি বালিয়া নামের মোট ৮ লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। প্রতিদিন এই রুটে ৮ টি লঞ্চ চলাচলের কথা থাকলেও লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট করে প্রতিদিন ৪টি লঞ্চ চলাচল করাছে। এতে ভোলাবাসী লঞ্চ মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভোলা থেকে ঢাকা হয়ে বিভিন্নস্থানে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ। বর্তমানে ভোলা-ঢাকা রুটে ৮টি লঞ্চের পরিবর্তে ৪ টি লঞ্চ চলাচল করায় এ রুটে প্রতিনিয়ত যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এমনকি এই জেলায় অসুস্থ রোগীরও লঞ্চে যাতায়তের জন্য কেবিন না পেয়ে হয়রানির ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। এছাড়া ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে বেশি। একটি কেবিনের জন্য যাত্রীদের বহু দেনদরবার ও তদবির করতে হয়। এ বিষয়টি জেলায় ওপেন সিক্রেট হলেও কেউ কোন প্রতিকার করছে না। রোটেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে সচেতন নাগরিক সমাজ ও যাত্রীদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী রুহুল আমিন কুট্টি গত ২১ নভেম্বর বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বাদী-বিবাদী পক্ষের বক্তব্য শুনে রবিবার (১৮ মার্চ) ভোলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামন ভোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চ রোটেশন বন্ধ করে প্রতিদিন ভোলা খেয়াঘাট থেকে ৪টি এবং ঢাকা সদর ঘাট থেকে ৪ টি করে এই রুটে মোট ৮টি লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী বলেন, আদালতের আদেশে ভোলাবাসী আনন্দিত। এই আদেশ মেনে লঞ্চ চলাচলে আমাদের চাই কষ্ট-লাঘব হবে এবং ভোগান্তি কমবে বলে নিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকট গোলাম মোর্শেদ কিরণ তালুকদার বলেন, ভোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চ রোটেশন বন্ধ রাখার পাশপাশি প্রতিদিন উভয় ঘাট থেকে ৪টি করে মোট ৮টি লঞ্চ চলাচলের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত জনগণের পক্ষে এই আদেশ দিয়েছেন।
-এসিটি/এফএইচ