মঙ্গলবার ● ১৩ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জামিন মঞ্জুর হলেও মুক্তি পাচ্ছেন না খালেদা
জামিন মঞ্জুর হলেও মুক্তি পাচ্ছেন না খালেদা
ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। চার মাসের জন্য এই জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। যদিও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সোমবার হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পেয়েছিলেন তিনি। এর পর কুমিল্লার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোয় শিগগিরই কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
চারটি কারণ হচ্ছে- প্রথমত, খালেদা জিয়ার বয়স ৭০ বছরের অধিক এবং তিনি বয়সজনিত নানান অসুস্থতায় ভুগছেন।
দ্বিতীয়ত, বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার আগে অর্থাৎ বিচার চলাকালেও তিনি জামিনে থেকে মামলা মোকাবিলা করেছেন। তিনি বিচারিক আদালতের দেয়া জামিনের অপব্যবহার করেননি।
তৃতীয়ত, স্বল্প মেয়াদের সাজা হয়েছে তার। বিচারিক আদালতের দেয়া স্বল্প মেয়াদের সাজায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন দেয়ার নজির আছে।
চতুর্থত, বিচারিক আদালত থেকে নথি এসেছে। তা বেশ বড়। আপিল শুনানির জন্য এখনো পেপারবুক তৈরি হয়নি। এই নথি থেকে পেপার বুক তৈরি করতে সময় লাগবে।
এই চার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে চার মাসের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
এই সময়ের মধ্যে পেপার বুক তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। পেপার বুক প্রস্তুত হলে যেকোনো পক্ষ আপিল শুনানি শুরুর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশ দেন। আদালত থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী এহসানুর রহমান এসব তথ্য জানান।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে জয়নুল আবেদীন শুনানি করেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন বলেন, ‘২০১৫ সালের মামলায় তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে যে ওয়ারেন্ট আছে, সেটার বিপরীতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে যাত্রীবাহী একটি নৈশকোচে পেট্রলবোমা হামলা ৮ জন যাত্রী নিহত হন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
আদালত এই মামলায় বিএনপি প্রধানের ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।