ভোলার মেঘনায় ইলিশ ধরার অপরাধে ২০ জেলে আটক

বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার মেঘনায় ইলিশ ধরার অপরাধে ২০ জেলেকে আটক করা হয়েছে।শুক্রবার দিবগত রাতে মেঘনার ইলিশা, ভাংতির খাল, মেদুয়া ও হেতনার খাল ও মনপুরার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।

ভোলা সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসিমে মা ইলিশ রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের নেতৃত্বে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের দু’টি টিম অভিযানে নামে। এসময় অভিযান দলটি মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ইলিশ ধরার অপরাধে ৪ হাজার মিটার কারেন্ট জালসহ ১৭ জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা কয়েছে।

আপরিদিকে মনপুরার মেঘনায় অবৈধভাবে মা ইলিশ শিকারের সময় বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে মাছ ধরা অবস্থায় ৩ জেলেসহ ১ টি ট্রলার আটক, ১০ কেজি ইলিশ মাছ ও প্রায় ১০ হাজার মিটার জাল জব্দ করেছে অভিযান পরিচালনাকারী ভ্রাম্যমান আদালত। রাতের আধারে আইন অমান্য করে নির্বিচারে মা ইলিশ শিকারের সময় এদের আটক করা হয়। আটক ৩ জন প্রত্যেককে  ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড  দন্ডিত করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোহাগ হাওলাদার।

মেঘনায় অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ শিকারের সময় মোঃ আঃ মন্নাœন (৩০), মোঃ আলী (২২) ও মোঃ রাকিব (২০) কে আটক করে মনপুরায় নিয়ে আসে। পরে  ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সোহাগ হাওলাদার আটক ৩ জনকে মৎস্য সংরক্ষন আইন দন্ড বিধির ১৯৫০এর ৩ (৩) উপধারা (ঘ) এবং (চ) ধারা মোতাবেক সরকারের জারিকৃত আইন অমান্য করায় প্রত্যেককে  ১বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত ১০ হাজার মিটার জাল আগুনে পোড়ানো হয়েছে ।

এছাড়া জব্দকৃত ১০ কেজি ইলিশ মাছ রাতেই নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটের উপস্থিতিতে হাজির হাট এতিম খানায় ছাত্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আটক ট্রলারটি হাজির হাট ঘাটে দফাদারদের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে ইলিশ ধরা, পরিবহন, বিক্রি, মজুদ, পরিবহন ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য বিভাগ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা যাতে ইলিশ শিকার করতে না পারে সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ টিম অভিযান পরিচালনা করছে।

-এসইউ/এফএইচ