মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চ

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন টু আলেকজান্ডার নৌ রুটে ডেঞ্জার জোন থাকা সত্ত্বেও চলছে ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ রামগতি এক্্রপ্রেস নামের লঞ্চ। দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিদিন সাধারণ যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  এই ফিটনেসবিহীন ছোট লঞ্চ দিয়ে উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিতে হয় যাত্রীদের।

তথ্য সুত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন টু আলেকজান্ডার নৌ রুটে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে কিছু অসাধু লঞ্চ ব্যবসায়ী আয় করছেন লক্ষ-লক্ষ টাকা। এ কারণেই প্রতি বছর কোন না কোন নৌ রুটে ট্রলার ও লঞ্চ  ডুবির ঘটনা ঘটেছে। বিআইডব্লিউটি এর মতে উত্তাল মেঘনা নদী বেষ্টিত ডেঞ্জার জোন হিসেবে ভোলাসহ উপকূলীয় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার এলাকা প্রতি বছরে ১৫ ই মার্চ থেকে ১৫ ই  অক্টোবর পর্যন্ত সী- সার্ভে নির্ভর যান ছাড়া সকল ধরণের যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এসবের তোয়াক্কা না করে সাধারণ যাত্রীদেরকে জিম্মি করে অবৈধ লঞ্চ ব্যাবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ-লক্ষ টাকা।

এব্যাপারে রামগতি এক্সপ্রেস লঞ্চ মালিক হাজী মোঃ মোস্থফার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন বক্তব্য দেয়ননি।

ভোলা জেলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল হালিম বলেন, রামগতি এক্সপ্রেস সহ অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে মোবাইল কোটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা হবে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন।

ভোলা জেলা বিআইডব্লিউ টিএর ট্রাপিক  অফিসার নাসিম আহমেদ জানান, এই অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে ইতি পূর্বে ৪ বার মোবাইল কোটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ২ বার এমভি রামগতি এক্সপ্রেস লঞ্চটি আটক পূর্বক জব্দ রাখা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে ২৫০ টাকার ষ্টাম্পে মোচলেকা দিয়ে লঞ্চটি নিয়ে যায়। কিছুদিন পরে  পূনরায় লঞ্চটি অবৈধ ভাবে চলাচল করছে।

এছাড়া মেরিন কোটে নৌযান মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা যাহা বিচারাধীন রয়েছে। এই অবৈধ লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য  ভোলা জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন, ভোলা পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসন ও থানায় রামগতি এক্সপেস লঞ্চটি আটক করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়।

এছাড়াও লক্ষ¥ীপুর জেলা ও রাপমগতি উপজেলা প্রশাসন ও থানায় চিঠি দেওয়া হয়। আমরা অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করব। ভোলা জেলা কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেপ্টেনেন্ট কমান্ডার ডিকসান চৌধুরী বলেন, অবৈধ লঞ্চের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। রামগতি এক্সপ্রেস এই লঞ্চটির বিরুদ্ধে আমরা অভিযান চাইব।  

-এইচএমএ/এফএইচ