শুক্রবার ● ২৮ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » মনপুরায় স্বাস্থ্য সেবায় নৌ এ্যাম্বুলেন্স, খুশির আমেজ
মনপুরায় স্বাস্থ্য সেবায় নৌ এ্যাম্বুলেন্স, খুশির আমেজ
মো. ছালাউদ্দিন, মনপুরা প্রতিনিধি: ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবা জনগণের মাঝে দ্রুত পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য হাসপাতালে যুক্ত হলো নৌ এ্যাম্বুলেন্স। মুমূর্যূ রোগীদের উন্নত সেবার ব্যাবস্থাসহ গর্ভবতী মহিলাদের দ্রুত জেলা সদরে স্থানান্তর ও উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে নৌ এ্যাম্বুলেন্স। নৌ এ্যাম্বুলেন্সটি শুক্রবার সকাল ৬ টায় ঢাকা থেকে মনপুরার উদ্দেশ্যে ছাড়ে আসে বিকাল ৫টায় মনপুরার হাজির হাট ঘাটে এসে পৌছেসে। নৌ এ্যাম্বুলেন্স মনপুরা আসার খবর শুনা মাত্র শত শত লোক হাজির হাট ঘাটে এসে এ্যাম্বুলেন্সটি দেখার জন্য ভীড় করেন। সাধারণ মানুষের মাঝে খুশির আমেজ লক্ষ করা গেছে। এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোাধনের অপেক্ষায়।
মনপুরার মূল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল গুলো থেকে উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে গুরুতর অসুস্থ্য রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অথবা দ্রুত অনত্র নেওয়ার জন্য ইতো পূর্বে কোন ব্যবস্থা ছিলনা। সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল ঢাকাগামী একটি লঞ্চ, সিট্রাক ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। বিগত দিনে যোগাযোগের অভাবে বহু রোগী বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছেন। মুর্মূয রোগীকে চরাঞ্চল থেকে কিংবা হাসপাতাল থেকে ভোলা জেলা শহর,বরিশাল ঢাকায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য প প কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশিদ উদ্যোগে পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব এম.পি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিসেস শেলিনা আকতার চৌধুরীরর আন্তরীক চেষ্ঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নৌ এ্যম্বুলেন্স ব্যবস্থা করা হয়েছে। নৌ এ্যম্বুলেন্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫ শত টাকা। ধারণ ক্ষমতা ১৫ থেকে ২০ জন। গতিবেগ ঘন্টায় ৭ থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল। ঘন্টায় ৪ লিটার ডিজেল ব্যয় হবে। উপজেলা সদর থেকে তজুুমদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলায় আসতে সময় লাগবে আদা ঘন্টা। নৌ এ্যাম্বুলেন্স মনপুরায় আসার খবর জেনে সাধারণ জনগণের মধ্যে খুশির আমেজ লক্ষ করা গেছে। চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে স্বঃস্তি ফিরে এসেছে। গুরুতর অসুস্থ্য রোগীদের নিয়ে এখন চিন্তা করতে হবেনা। এখন তারা বৈরী আবহাওয়া ও উত্তাল মেঘনা নদী দিয়ে পাড়ি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যাবস্থা করতে পারবেন কিংবা জেলা সদরে রোগীদের নিয়ে যেতে পারবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য প প কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশিদ বলেন, এটি আমার একার চেষ্ঠা নয়। স্থানীয় জনগণের আগ্রহ উদ্দীপনা ও পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দের আন্তরীক প্রচেষ্ঠায় এটি পেয়েছি। আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। মন্ত্রণালয় প্রস্তাব অনুমোদন করেন। তিনি আরও বলেন নৌ এ্যাম্বুলেন্সটি স্থানীয় লোকজন দ্বারা গঠিত একটি পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ওই কমিটি এর ভাড়া নির্ধারণ করবেন। এ্যাম্বুলেন্স উদ্বোাধনের তারিখ এখনও নির্দারন করা হয়নি। উপমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে দ্রুত উদ্ভোধন করা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি মিসেস শেলিনা আকতার চৌধুরী বলেন, গুরুতর অসুস্থ্য রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চরাঞ্চল থেকে কিংবা জেলা শহরে (আনা নেওয়ার জন্য) উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে দ্রুত অনা নেওয়ার কোন ব্যাবস্থা ছিলনা। ডা. মামুদুর রশিদ উদ্যোগে পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব এম.পির আন্তরীক প্রচেষ্ঠায় নৌ এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্য সেবা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
-এফএইচ