উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভোলাবাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু

বিশেষ প্রতিনিধি • ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার সাথে সংযোগকারী বাঘমারা নদীর ওপর প্রায় দেড় হাজার ফুট দীর্ঘ্য ভোলাবাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় । ভোলা সদরের উত্তর দিঘলদী, দক্ষিণ দিঘলদী, চর সামাইয়া, ভেদুরিয়া ও ভেলুমিয়া ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল বাঘমারা খেয়ার স্থানে বাঘমারা সেতু। ভোলার বাংলাবাজার-বাঘমারা-শরীফখা ভেলুমিয়া-ব্যাংকেরহাট সড়কটি অপরিপূর্ণ ছিল এই একটি মাত্র সেতুর জন্য। তাছাড়া ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার সাথে সেতুবন্ধনের বাধা ছিল এই বাঘমারা সেতু। এই সেতু পাড় হয়ে মাত্র এক ঘন্টায় ভোলা থেকে পটুয়াখালী যাতায়ত করা যায়। ২০১০ সনে ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এই সেতু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। ২০১২ সনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বৃহত্তর বরিশাল জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেতুটি অনুমোদন করা হয়।
ভোলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ৪৪০ মিটার  (১৪৪৫ ফুট) দীর্ঘ্য ও ৭ মিটার (২৩ ফুট) প্রস্থর এই প্রি-স্ট্রেচ গার্ডার সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪২ কোটি টাকা। সেতুর পূর্ব পার্শে রয়েছে ১২০ মিটার আর পশ্চিম পাশে রয়েছে ৩৬০ মিটার এপ্রোচ সড়ক। সরজমিনে সেতুর ওপর গিয়ে দেখা যায় মানুষের উচ্ছাস।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন, মো.তরিকুল, জাকির খাঁ জানান, এই সেতু এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বিশেষ করে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে সহজ হয়েছে, এখানকার শিক্ষার্থীদের যাতায়ত সহজ হওয়ার কারণে তারা এখন ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারছে।
পটুয়াখালীর কালাইয়ার বাসিন্দা মো.নজরুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালী জেলার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ ভোলা জেলায় বসবাস ও চাকুরী করছে। এই একটি সেতু তাদের যাতায়তে অন্তত দু’ঘন্টা সময় বাঁচিয়ে দিয়েছে। ভোলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সাখাওয়াত হোসেন আরো জানান, কয়েক মাস আগে ভোলাবাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু নির্মাণ কাজ সর্ম্পূন্ন শেষ হয়েছে। ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন লিঃ সেতুটি নির্মাণ করেছে । তিনি জানান এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী এবং ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সময় দিলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ভোলাবাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু উদ্বোধন করা হবে ।

-এসিটি/এফএইচ