ভোলায় নিরাপদ আশ্রয় থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ

বিশেষ প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা‘ আঘাত হানার খবরে ভোলার উপকূলীয় এলাকার ৪৭৩ টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঘরে ফিরে গেছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরে গেছে।

এদিকে জেলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরার বিচ্ছিন্ন কলাতলী চরের আশ্রয়ণকেন্দ্রে যাওয়ার পথে মায়ের কোল থেকে পড়ে গিয়ে রাশেদ নামের এক বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোলায় ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি পড়তে থাকে। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। “

বিআইডাব্লিউটিএ ভোলা ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. নাছিম বলেন, ‘সোমবার দুপুর থেকে ভোলা-ঢাকা, ভোলা-বরিশাল নৌ রুটসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ এখানো বলবৎ রয়েছে। তবে, বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকায় বিআইডাব্লিউটিএর এক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশনা এলে জানানো হবে। ‘

জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা‘ মোকাবেলায় আমরা সোমবার জেলা ও জেলার সাত উপজেলায় প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি, ফায়ার ব্রিগেড, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ত্রাণ শাখাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

-এসসি/এফএইচ