শুক্রবার ● ১৭ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » মনপুরায় ৯ মাস ইউএনও বিহীন চলছে কার্যক্রম, ভোগান্তি
মনপুরায় ৯ মাস ইউএনও বিহীন চলছে কার্যক্রম, ভোগান্তি
মো. ছালাউদ্দিন, মনপুরা প্রতিনধি: ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার প্রশাসন কার্যক্রম চলছে নির্বাহী অফিসার বিহীন। গত ৯ মাস ধরে এই পদটি শূন্য থাকায় প্রশাসনিক কাজ-কর্মে জটিলতা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইউএনও না থাকায় বিভিন্ন সরকারী দাপ্তরিক প্রধানরাও নিয়মিত অফিস করছেনা। প্রশাসনিক নানান জটিলতা দূর করার জন্য শীঘ্রই মনপুরায় একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পদায়ন করতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন উপজেলাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ জুন মনপুরার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খাঁন এডিসি জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত পদটি শূন্য রয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চরফ্যাশনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মনোয়ার হোসেন মনপুরার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। গত ৯ মাস ধরে একটানা নির্বাহী অফিসারের পদটি শূন্য থাকার কারনে সাধারন মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। প্রশাসনিক কাজেও দেখা দিয়েছে জটিলতা।
প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে ইউএনওর একটি গুরুত্বপূর্ন পদ। প্রতিদিন নিজ দপ্তর ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের নানান কাজ করতে হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। সাধারণ মানুষও আসেন নানান সমস্যা নিয়ে। এছাড়া মনপুরায় উপজেলায় এসিল্যালেন্ড পদটি শূন্য থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্বও থাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ওপর। পদটি শুন্য থাকায় বিভিন্ন কাজে নানমূখী সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন এসে ইউএনও কে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন বহু মানুষ। দাপ্তরিক অনেক কাজ জমা হলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে চরফ্যাশন নিয়ে স্বাক্ষর করে আনেন অফিস সংশ্লিষ্টরা। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসে ২ বার মনপুরায় অফিস করেন। জরুরী কোন কাজ না থাকলে মনপুরায় না এসে তিনি সকল কাজ চরফ্যাশন বসে করেন। মনপুরার ইতিহাসে দীর্ঘ ৯মাস ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেই সত্যিই মনপুরাবাসীর জন্য দুর্ভাগ্যজনক। সামনে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। মনপুরার সাধারণ মানুষ চায় ইউপি নির্বাচনের আগেই একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে মনপুরায় যোগদান করুক। তাহলে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বঃস্তি ফিরে আসবে দাপ্তরিক কাজ সচল হবে।
এব্যাপারে মনপুরার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মনোয়ার হোসেন বলেন, শত ব্যাস্ততার মাঝেও মনপুরার কাজ নিয়ে অফিসে আসলে আগে করে দিই। মনপুরার সাধারণ মানুষের যাতে কোন দূর্ভোগ না হয় তার জন্য মাসে কয়েকবার উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে মনপুরায় অফিস করি। মাসিক সমন্বয় সভায় আমি উপস্থিত থেকে সকল দাপ্তরিক অফিসের সমস্যা সমাধান করে থাকি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি মিসেস সেলিনা আক্তার চৌধূরী বলেন, দীর্ঘদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেই। আমি পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপিকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এছাড়াও জেলাপ্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনারের সাথে কথা বলেছি। অল্প সময়ের মধ্যে একজন নির্বাহী অফিসার দিবেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।
-এফএইচ