শনিবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » কোন লাভের আশায় সাংবাদিকতা করিনি- লালমোহনের প্রথম সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক
কোন লাভের আশায় সাংবাদিকতা করিনি- লালমোহনের প্রথম সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক
সমগ্র দেশের সাথে ভোলা একটি বিচ্ছিন্ন জনপদ। সভ্যতার এত উন্নয়নের ফলেও আমরা এখনো সারা দেশের সাথে সরাসরি যোগাযোগের সুফল ভোগ করতে পারিনি। এমন কিছু মানুষ আছেন যারা সারা দেশের সাথে আমাদের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করতে না পারলেও পেরেছেন সারা দেশের খবর আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে। তেমনি একজন গুণি ব্যাক্তিত্ব লালমোহনের প্রথম সাংবাদিক ও লালমোহন প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক। শুধু তাই নয় লালমোহনবাসীকে সারা দেশের খবর জানানোর জন্য তিনি প্রথম লালমোহনে পত্রিকার এজেন্ট স্থাপন করেন। সম্প্রতি ভোলার জনপ্রিয় ও সর্বাধিক প্রচারিত এবং পঠিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভোলার সংবাদ ডট কম এর মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন তার না বলা কথা। ভোলার ৭টি উপজেলায় প্রথম ও ৪০ উর্ধ্ব সাংবাদিক সহ প্রেস ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একান্ত সাক্ষাতকার ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভোলার সংবাদ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে লালমোহন উপজেলার প্রথম সাংবাদিক ও লালমোহন প্রেস ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক’র না জানা কথা।
ভোলার সংবাদঃ- ভোলার লালমোহন পৌরসভার মৃত মমতাজ উদ্দিন আহাম্মদ ও মরহুমা হালিমা খাতুন এর ৩ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে ৪র্থ মো.আবদুর রাজ্জাক। জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ এপ্রিল লালমোহন পৌরসভায়। শৈশব কাটে লালমোহনেই। প্রাথমিকের গন্ডি পেড়িয়ে ১৯৫৮ সালে মেট্রিকুলেশন পাশ করে ভর্তি হন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে। এরপর সেখান থেকে আইএসসি ও বিএ পাশ করেন তিনি। তারপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৫ সালে ইতিহাস বিভাগ থেকে এম এ পাশ করেন লালমোহন উপজেলার প্রথম এই সাংবাদিক। কর্মজীবনে শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নিবেন বলেই এরইমধ্যে ১৯৬৭ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি।
ছাত্র জীবন থেকেই পত্রিকা পড়ার শখ ছিলো মো. আবদুর রাজ্জাক এর কিন্তু কখনো ভাবেননি সাংবাদিকতা করবেন। শখের বসেই জড়িয়ে পড়লেন সাংবাদিতা পেশায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। স্ত্রী ফজিলাতুন নেছা গৃহিনী। তার ৫ ছেলে এবং ২ মেয়ে রয়েছে। তারা সবাই চাকুরিজীবী। কি সাংবাদিকতা জীবন কি ব্যক্তি জীবন উভয়েই সুখী এই মানুষটি সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছেন ভোলার সংবাদ’র প্রধান সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রিয়াজ’র। কিছু সাবলীল প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। নিন্মে তার সাক্ষাতকারটি তুলে ধরা হলো।
ভোলার সংবাদঃ-
কেমন আছেন?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
ভোলার সংবাদঃ-
পড়াশুনা শেষে আপনার কর্ম জীবন কিভাবে শুরু করলেন?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
আমি যখন ঢাকাতে পড়াশুনা করি তখন পড়াশুনার পাশাপাশি আমি পূর্ত মন্ত্রণালয়ে চাকুরিতে যোগ দেই। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলাম। এরপর শিক্ষকতাকে আপন পেশা হিসেবে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা টিচার্চ ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রী নিয়ে যোগ দেই লালমোহন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে। ২৮ বৎসর একটানা চাকরি করি সেখানে। এরপর ১৯৯৫ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেই লালমোহন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত সেখানে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যাই।
ভোলার সংবাদঃ-
বর্তমানে কি করছেন?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
এখন পুরোপুরি অবসরেই আছি। বই আর খবরের কাগজ পড়া ছাড়া আর কোন কাজ নেই আমার।
ভোলার সংবাদঃ-
আপনার সাংবাদিকতার শুরু কিভাবে?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
তখন লালমোহনে কোন সংবাদ পত্র আসত না। আমি প্রথম ১৯৬৮ সালে প্রথম দিকে লালমোহনে পত্রিকার এজেন্ট নেই। তখন এক তলা লঞ্চে করে লালমোহনে পত্রিকা আসত। দৈনিক আজাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার কয়েক কপি এনে হকারের মাধ্যমে তা পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতাম। পত্রিকার এজেন্ট আনার সুবাধে পত্রিকা অফিসের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ডাকের মাধ্যমে দৈনিক আজাদ এর মফস্বল সম্পাদক জানালেন লালমোহন থেকে সংবাদ পাঠানোর জন্য। তখন কি সংবাদ পাঠাবো এই নিয়ে ভাবতে চলে গেল ২/৩ দিন। হঠাৎ শুরু হলো দূর্গাপূজা। আমি কয়েকটি পূজা মন্ডপ ঘুড়ে একটি রিপোর্ট তৈরী করলাম। পরে তা ডাক যোগে পাঠালাম দৈনিক আজাদ অফিসে। কয়েকদিন পর দৈনিক আজাদ পত্রিকায় দেখলাম ছাপা হলো সে খবরটি।
ভোলার সংবাদঃ-
প্রথম লেখা রিপোর্টের শিরোনাম কি ছিল?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
“লালমোহনে সারম্ভবে দুর্গোৎসব উদ্যাপিত” শিরোনামে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম নিজের লেখা রিপোর্ট দেখে।
ভোলার সংবাদঃ-
কোন কোন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করেছেন?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
প্রথমে শুরু করেছি দৈনিক আজাদ পত্রিকার মাধ্যমে। এরপর দৈনিক ইত্তেফাকে তারপর পাকিস্তান ও অবজার্ভারে প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
ভোলার সংবাদঃ-
৭০ এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে কি দেখলেন?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
৭০ এর সেই জলোচ্ছ্বাসের সময় বাড়িতেই ছিলাম। ঝড়ের তা-ব লীলা শেষে সকাল বেলা ঘর থেকে বের হই বাইরের অবস্থা দেখার জন্য। বেড়িয়ে দেখি লালমোহন বাজারে হাটু সমান পানি। এরপর মেঘনা পাড়ের দিকে গিয়ে দেখালাম লাশ আর লাশ। সেই ভয়াবহ দৃশ্য চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না কি ছিলো সেই সময়ের পরিস্থিতি। সেই জলোচ্ছ্বাসের সংবাদও সংগ্রহ করে পাঠালাম পত্রিকা অফিসে। তাও ছাপা হলো পত্রিকায়।
ভোলার সংবাদঃ-
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন কি?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণের সুযোগ হয়নি আমার। তবে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছি। আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি লালমোহন বাজারে একটি ফার্মেসীর দোকান দিয়েছিলাম। অবসর আমি সেই দোকানে বসতাম। হঠাৎ দেখি পাক বাহিনী ট্রাকে করে লালমোহনে প্রবেশ করেছে। আমি সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকান বন্ধ করে দেই। পাকিস্তানী সৈন্যরা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোকলেছুর রহমানের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা চালায়। আমি সহ কয়েকজন মিলে পাক বাহিনীকে বাড়িটি পোড়াতে বাঁধা দেই। যুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করতে পারি নি কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ধরণের সংবাদ পৌঁছে দিতাম। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করেছি।
ভোলার সংবাদঃ-
যুদ্ধের পরে কিভাবে আবার সাংবাদিকতা শুরু করলেন?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় লাভ করার পর পেলাম এক স্বাধীন পতাকা। এরপর যোগ দেই দৈনিক ইত্তেফাকে। এই পত্রিকাতেই শেষ কাজ করেছি। ১৯৭৪ সালের পর আর রেগুলার কাজ করা হয়ে উঠেনি। শিক্ষকতা পেশায় মনোনীবেশ করতে গিয়ে পত্রিকার রিপোর্টে আর সময় দিতে পারি নি। তবে নিয়মিত রিপোর্ট পাঠাতে না পারলেও কলাম বা ফিচার লেখার অভ্যাস এখনো রয়ে গেছে।
ভোলার সংবাদঃ-
লালমোহন প্রেস ক্লাব কিভাবে গঠন করলেন?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
আমি যখন সাংবাদিকতা করেছি তখন কোন প্রেসক্লাব ছিলো না লালমোহনে। লালমোহনের কৃতি সন্তান এইচ এম বজলুর রহমানকে নিয়ে ও কিছু সংখ্যক শিক্ষানবীশ সাংবাদিক নিয়ে ১৯৮৪ সালে প্রথম প্রেস ক্লাব গঠন করি। লালমোহন প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলাম আমি নিজে ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এইচ এম বজলুর রহমান। আমরা প্রথমে লালমোহনের দাতব্য চিকিৎসালয়ের একটি রুমে প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে প্রেস ক্লাবের কার্যক্রম শুরু করি। এরপর লালমোহন ভূমি অফিসের একটি পরিত্যক্ত রুমে প্রেস ক্লাবের কার্যক্রম চালাই।
ভোলার সংবাদঃ-
আপনি কত সাল পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
আমি ২০০০ সাল পর্যন্ত লালমোহন প্রেস ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। পরে শিক্ষকতা পেশায় বেশি সময় দিতে হতো তাই আর প্রেস ক্লাবের দায়িত্বে মনোনীবেশ করতে পারি নি।
ভোলার সংবাদঃ-
কি পেলন সাংবাদিকতা করে?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
এমন প্রশ্নেরে জবাবে মো.আবদুর রাজ্জাক এক কথায় বলেন, সাংবাদিকতা করে জন মানুষের আবেগ বিবেক সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবং তা জাতিকে জানিয়েছি।
ভোলার সংবাদঃ-
সাংবাদিকতায় মজার কোন অভিজ্ঞতা আছে কি?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
হ্যা আছে। ১৯৭২ সালের কথা। হঠাৎ কোন এক অজ্ঞাত রোগে চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউনিয়নের আলীম চেয়ারম্যানের অনেকগুলো গবাদী পশুর মৃত্যু হলো। তিনি আমাকে অনুরোধ করলেন তার পশুর এই মৃত্যুতে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার। প্রথমে প্রস্তাবটি হাস্যকর মনে হলেও অনুরোধের ঢেকি রাখতে গিয়ে রিপোর্ট করে তা পত্রিকায় পাঠালাম। রিপোর্টটি ছাপাও হলো এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাকে অনুদানও দেয়া হলো। এই মজার স্মৃতিটা আজও মনে পড়ে আমার।
ভোলার সংবাদঃ-
সংবাদপত্রে কাজ করে কোন সম্মানি পেতেন?
মো. আবদুর রাজ্জাকঃ-
আমাদের সময়ে পত্রিকা অফিস গুলো আমাদের মাসিক কোন সম্মানি দিত না। নিউজ ছাপা হলে ৬০ পয়সা করে লাইনেজ দেয়া হতো।
ভোলার সংবাদঃ-
কর্ম জীবনে কোন সম্মাননা পেয়েছেন কি?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
সম্মাননা পেয়েছি। দীর্ঘদিন সুনামের সাথে সাংবাদিকতা করেছি। কোন লাভের আশায় সাংবাদিকতা করিনি। মানুষ এখনো সৎ সাংবাদিক হিসেবে সম্মান করে। শিক্ষক হিসেবে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মনোনীত হয়েছি এবং শিক্ষা বিভাগ থেকে সম্মাননা পেয়েছি।
ভোলার সংবাদঃ-
লালমোহনের প্রথম সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে আপনার অনুভূতি কি?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
আমি যখন প্রেস ক্লাব গঠন করি তখন মাত্র ৪/৫ জন সদস্য ছিলো। আজ প্রেস ক্লাব টিতে ২১ জনের মত সদস্য আছে। এছাড়া সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠন ও আছে লালমোহনে। আমার আনন্দ আছে থাকবে। অনূভুতি প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। আমি সত্যি মহান প্রতিপালকের কাছে কৃতজ্ঞ।
ভোলার সংবাদঃ-
অবসরে কি করেন?
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
আমার শখ বই পড়া। আগে সব ধরণের বই পড়তাম। বই সংগ্রহ করতাম। এখন ইসলামিক বই বেশী পড়া হয়। এছাড়া খবরের কাগত তো নিত্য সঙ্গি। বাড়িতে মিনি লাইব্রেরী আছে আমার।
ভোলার সংবাদঃ-
নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের কাছে আপনার চাওয়া কি?
মো. আবদুর রাজ্জাকঃ-
নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকতা আমাদের চাইতে অনেক এগিয়ে। তাদের কাছে একটাই চাওয়া তারা যেন সাংবাদিক হওয়ার জন্য সাংবাদিকতা করে।
ভোলার সংবাদঃ-
অনলাইন পত্রিকা সম্পর্কে কি বলবেন?
মো. আবদুর রাজ্জাকঃ-
এখন পাঠ্য বইতেও তথ্য প্রযুক্তি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তার মানে এই যে, অনলাইন গণ মাধ্যম এর বিকল্প নেই। সব খবর এখন হাতের নাগালে। আমি ভোলার সংবাদ ডট কম পত্রিকাটি অনলাইনে দেখেছি। তাছাড়া ফেজ বুকেও এর সব খবর পাওয়া যায়। যা সব ধরণের পাঠকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এর ভোলার সংবাদ এর সাফল্য কামনা করি।
ভোলার সংবাদঃ-
আপনার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য।
মো.আবদুর রাজ্জাকঃ-
আপনাকেও ধন্যবাদ।
-এফএইচ