বুধবার ● ১৬ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় তরুণ কাউন্সিলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার!
ভোলায় তরুণ কাউন্সিলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার!
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলায় এক কাউন্সিলরকে কাবু করতে একটি দুর্বৃত্ত চক্রের ক্রাশ মিশন ফাঁস হয়েছে। ঘটনাটি বুধবার (১৬ জুন) ভোলা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের তরুণ কাউন্সিলর আসাদ হোসেন জুম্মানকে নিয়ে ঘটেছে।
স্থানীয় সুত্র মতে জানা গেছে, ভোলা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে গত ৫ বছরে যে পরিমাণ মাদক কারবারি ও ভূমিদস্যুতা বেড়ে গিয়েছিল তার থেকে মুক্তির জন্য স্থানীয় জন সাধারণ বিকল্প ব্যাবস্থা হিসেবে একজন সৎ ও নিষ্ঠার প্রতিক তরুণ রাজনিতীবিদ আসাদ হোসেন জুম্মানকে নির্বাচনে জয়ী করে ৪ নং ওয়ার্ডকে কুলশিত মুক্ত করার স্বপ্ন দেখছেন ঠিক তখনই তথাকথিত ওই মাদক কারবারি ও ভূমি দস্যুরা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকনে। তারই বহিঃপ্রকাশ গত ১৪ জুন সোমবার একটি পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে দুৃর্বৃত্ত চক্ররা কিছু আঞ্চলিক গণমাধ্যমে আসাদ হোসেন জুম্মানকে নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে, যাহার কোন ভিত্তি নেই।
ঘটনার সুত্রমতে জানা যায়, ভোলা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মাঝি বাড়িতে (পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন) আপন দুই ভাই আবু তাহের মাঝি ও আব্দুর রহমান মাঝির মধ্যে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষই কাউন্সিলর আসাদ হোসেন জুম্মানের কাছে মিমাংসার জন্য শরণাপন্ন হলে কাউন্সিলর পৌর মেয়রের পরামর্শ নিয়ে স্থানীয় গণ্যমাণ্যদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। সেদিন ঘটনা এখানেই শেষ হয়ে যায়। অপরদিকে ওই দিন রাতে আব্দুর রহমান মাঝি ও তার স্ত্রী সন্তানদের মধ্যে ঝগরাঝাটি হয়। ঝগরাঝাটিকে কেন্দ্র করে আব্দুর রহমান মাঝি স্ত্রী সন্তানদের উপর অভিমান করে সোমবার রাতেঁ বিষপানে আত্বহত্যার চেষ্টা করেন। এই সুত্রধরে কিছু কু-চক্রিমহল কাউন্সিলরের শালিশ ব্যাবস্থা নিয়ে নিন্দা ছড়ায়।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় আত্মহত্যার চেষ্টাকারি আব্দুর রহমান মাঝির ছেলে বাচ্চু ও শ্যালক ইয়ারুল আলম হেলালের সাথে। তারা বলেন, ঘটনাটি সম্পুর্ন আমাদের পারিবারিক বিষয় এখানে আমাদের কাউন্সিলরের সাথে ঘটনার কোন যোগসুত্র নেই। বরং তিনি দীর্ঘদিনের একটি অমিমাংশিত পারিবারিক কোলহ নিরসন করে দিয়েছেন। কে বা কাহারা আমাদের বরাত দিয়ে আমাদের কাউন্সিলর আসাদ হোসেন জুম্মানকে নিয়ে মিথ্যা ছড়াচ্ছেন তা আমাদের বোধগম্য হয়না। আমরা ঘটনাটি নিয়ে তথ্য আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কাউন্সিলরের একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র বলছে, এই ঘটনার পিছনে কে বা কাহারা জড়িত তাহার সকল তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাছাড়া কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য সেদিন রাঁতে কোন ব্যাক্তি কোথায় বসে কত টাকা এবং কোথায় খরচ করেছে তাহার সকল তথ্য আমাদের কাছে আছে আমরা অচিরেই এই কুচক্রি দুর্বৃত্তদের সামনে এনে প্রচলিত আইনে বিচারের ব্যাবস্থা করবো।
ঘটনাটি নিয়ে কাউন্সিলর আসাদ হোসেন জুম্মান বলেন, আমি জননেতা তোফায়েল আহাম্মেদের আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি। আমার কাছে আবেগের কোন সুযোগ নেই। আশা করছি ৪ নং ওয়ার্ডের জনগন এই ষরযন্ত্রকারিদের বিচার করবে। ৪ নং ওয়ার্ডের জনগন আমাকে ভোটে নির্বাচিত করে এলাকার মাদক কাববারি, ভূমিদস্যু চাঁদাবাজদের জঞ্জাল মুক্ত করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন আমি সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি এতে সামনে যতই বিপদ আশুকনা কেন তার পরোয়া করবোনা। জনগনের পাশে আছি এবং থাকবো ইনশায়াল্লাহ।
এইচএমএন/এফএইচ