রবিবার ● ৩ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় » তজুমদ্দিনে বাগান ও ফসলি জমিতে খাল খনন,মাটিচাপা দেয়ার হুমকি
তজুমদ্দিনে বাগান ও ফসলি জমিতে খাল খনন,মাটিচাপা দেয়ার হুমকি
তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল খনন প্রকল্পের পঞ্চগ্রাম খালে মাটি কাটার সময় মালিকানা বাগান ও ফসলি জমি কাটার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। জোড়পূর্বক বাগান ও ফসলি জমি কাটার প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের লোক এবং ভেকু সর্দার জমির মালিকদের মাটিচাপা দেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ প্রকল্পে মাটি কাটার কাজে শ্রমিকের পরিবর্তে ব্যবহার করছে ভেকু।
সরেজমিনে ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর আওতায় পঞ্চগ্রাম খাল খনন প্রকল্প চলছে। ৫১ লক্ষ টাকায় ২১ শ মিটারের এই খাল খনন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাওলাদার বিল্ডার্স, তজুমদ্দিন। প্রকল্পে খালের পুরনো নকশা অনুসরণ না করে মাটি কাটার সময় রেকর্ডিয় মালিকানা বাগান ও ফসলি জমি কেটে নিচ্ছেন জোড়পূর্বক। নষ্ট করছে মূল্যবান গাছ ও কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল।
অভিযোগে তারা আরো জানান, সরকার কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন শ্রমিককে কাজে না লাগিয়ে খনন কাজে ব্যবহার করছেন ভেকু। এদিকে রেকর্ডিয় জমির মালিকরা বাগান ও ফসলি জমি কাটার প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের লোক ও ভেকু সর্দার মোঃ সেলিম এবং জাহাঙ্গীর জমির মালিকদের মাটিচাপা দেয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন আবুল কালাম, তাজল ইসলাম, ইয়াছিন, রতন মিয়া ও রিজিয়া বেগমসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
অসহায় বিধবা রিজিয়া বেগম (৬৫) বলেন, তাহের চেয়ারম্যান, রিয়াজ উদ্দিনসহ ঠিকাদারীতে পার্টনারের লোকেরা আমার একমাত্র সম্পদ ১৬ শতাংশ সুপারি বাগান খাল কাটার নামে কেটে নিয়েছে, কোন ক্ষতিপূরণ পাইনি।
সাবেক মেম্বার মোঃ শাজাহান (৬৫) বলেন, আমরা ঠিকাদারদের লোকদের জোড়-জুলুমের বিষয়ে চাঁচড়া চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে জাননোর পরেও কোন সমাধান পাইনি। জমির মালিক আবুল কালাম (৭০) বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কাজ চলাকালীন সময় সাইডে না থাকায় আমরা তাৎক্ষণিক কোন প্রতিকার পাইনি।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী কাজের পার্টনার রিয়াজ উদ্দিন মালিকানা কিছু জমি নষ্ট হচ্ছে স্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে প্রকল্পের ১৬ শ মিটার খাল খনন কাজ শেষ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন অনুযায়ী কাজ চলছে। কারা খাল দখল করে রেখেছে, আর কাদের জমি কাটা হচ্ছে সেই প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, ৬৪ জেলায় ছোটনদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় প্রতি উপজেলায় একটি স্কীমের পঞ্চগ্রাম খাল পূনঃখনন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পে পুরনো নকশা অনুসরণ করে ম্যানুয়েল লেভার শতকরা ৩০ ও স্কাবেটর শতকরা ৭০ ভাগ ব্যবহার করা হবে। তবে জমি অধিগ্রহণ করার কোন বরাদ্ধ নেই।
-আরএস/এফএইচ