শনিবার ● ৪ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বোরহানউদ্দিনে পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বিপাকে গ্রাহক
বোরহানউদ্দিনে পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বিপাকে গ্রাহক
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: বোরহানউদ্দিনে পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে দিশেহারা গ্রাহকরা। ভোলা পল্লী বিদ্যুত অভিযোগ কেন্দ্রে এর কারণ জানতে চাইলে গ্রহকদের সাথে করা হচ্ছে খারাপ আচরণ করছে। এ নিয়ে চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা।
জানা যায়, ১৯৯৮ সনের দিকে বোরহানউদ্দিনে পল্লী বিদ্যুত সমিতির কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুর পর থেকেই নানা অনিয়ম ও নিম্ম মানের গ্রাহক সেবা মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সমিতির কার্যক্রম।
একাধিক গ্রাহক জানায়, বোরহানউদ্দিন সেবা কেন্দ্রটি নিয়ম না মেনে পল্লী বিদ্যুতের লাইনের আয়ত্তের মধ্যে না রেখে ওজোপাডিকো’র লাইনের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। ফলে পল্লী লাইনে বিদ্যুৎ আছে কিংবা নেই গ্রাহক ফোন দেয়ার পর তারা অবগত হন।
গ্রাহকরা আরো জানান, তারা মিটার নেয়ার সময় এককালীন মিটারের টাকা পরিশোধ করেও বর্তমানে প্রায় ১৯ বছর পর্যন্ত প্রতিমাসে ১০ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। তার সাথে সার্ভিস চার্জ, ডিমান্ড চার্জ সহ নানা অজুহাতে মাস শেষে করায়-গন্ডায় তাদের পাওনা আদায় করে নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি জানান, পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার লাইনম্যান সহ একটি চক্র জয়া সড়ক, রাণীগঞ্জ সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকায় সাইড লাইন দিয়ে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ফলে প্রকৃত গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছে নিয়মিত গ্রাহক সেবা থেকে।
ওই জনপ্রতিনিধি আরো জানান, বোরহানউদ্দিনে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র থাকতেও দিনে ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণ জানতে চাইলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে লাইন বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয় অভিযোগ কেন্দ্রের কর্তব্যরতরা।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানান, বর্তমান সরকার গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে একের পর এক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করে যাচ্ছেন। বোরহানউদ্দিনে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র থাকতেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কেন এতবার লোডশেডিং দিচ্ছেন তা বোধগম্য নয়। বোরহানউদ্দিন পৌর প্যানেল মেয়র মো. ইউসুফ জানান, তিনি আগে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক ছিলেন। নি¤œমানের সেবা ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে তিনি ওই লাইন বাতিল করে ওজোপাডিকো’র লাইন নিয়েছেন।
বোরহানউদ্দিন রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি এমএইচ শিপন জানান, পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে তিনি সহ তার আশেপাশের অনেক গ্রাহক পল্লী লাইনে পাল্টে ওজোপাডিকো’র লাইন নিয়েছেন।
এব্যাপারে ভোলা পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার কেফায়েত উল্যাহ জানান, লোডশেডিংয়ের কারণ হচ্ছে লাইনের সমস্যা আর তার কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-এএইচ/এফএইচ