বুধবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় মাইজভান্ডারী জলসার প্রতিবাদে ওলামাদের বিক্ষোভে পুলিশী বাঁধা, উত্তেজনা
ভোলায় মাইজভান্ডারী জলসার প্রতিবাদে ওলামাদের বিক্ষোভে পুলিশী বাঁধা, উত্তেজনা
এইচ এম নাহিদ: ভোলায় সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নে মাইজভান্ডারী জলসাকে কেন্দ্র করে ওলামা ঐক্য পরিষদের সহ দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে ওলামা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভে বের করলে পুলিশের বাঁধা দেয়ার ঘটনা ঘটে। এনিয়ে ওলামা ঐক্য পরিষদ ও মাইজভান্ডারী ভক্তদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, ১৫ ফেব্রুয়ারী ভেলুমিয়া গাউসে আজম মাইজভান্ডারীর ভক্তরা এক জলসার আয়োজন করে। এই জলসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মুসল্লিরা জলসায় অসামাজিক কর্মকা- হবে বলে তা বন্ধের দাবীতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাষ্টারের কাছে গেলে মাইজভান্ডারী ভক্তরা মুসল্লিদের ওপর আর্তকিত হামলা চালায়। এতে মাওলানা রাকিব সহ ৩ মুসল্লী আহত হয়।
এই হামলার প্রতিবাদে বুধবার ওলামা ঐক্যপরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভের ডাক দেয়। অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ বিক্ষোভে বাঁধা দেয়। এই পরিপেক্ষিতে ওলামা মাশায়েকের প্রতিনিধি হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল মমিন বিক্ষোভে বাঁধা দেয়ার প্রশাসনের সমালোচনা করে অভিলম্বে মাইজভান্ডারী জলসার কার্যক্রম বন্ধ করে হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়ার অনুরোধ করেন। তানা হলে ভোলা জেলায় ওলামা মাশায়েকদের সাথে নিয়ে এক দুর্বার আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বিক্ষোভ করিরা।
এই ব্যপারে মাইজভান্ডারী পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাষ্টার ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, ওলামা ঐক্য পরিষদের দাবী পুরোপুরি সঠিক। তারা বেআইনি ভাবে মাইজভান্ডরীর জলসার নামে গাঁজা,মদ সহ নানান বেহাল্লাপনা হয়।
তার প্রতিবাদে স্থানীয় মুসল্লিরা আমার কাছে আসলে মাইজভান্ডারীর সন্ত্রাসীরা মুসল্লিদের উপর বেআইনি হামলা চালায়। এতে ৩ জন মুসল্লি আহত হয়।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবির ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, মাইজভান্ডারী জলসার ও ওলামা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভের অনুমতি নেয়নি তারা। তাই মাইজভান্ডারী জলসার নামে ভেলুমিয়ায় কোন অনুষ্ঠান হবেনা। যদি তারা কোন অনুষ্ঠান করতে চায় তাহলে প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। আর যারা ঘটনায় আহত হয়েছেন, তারা যদি কোন অভিযোগ দেন তাহলে আমরা তদন্ত অনুযায়ি ব্যবস্থা নেব।
-এফএইচ