মঙ্গলবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় ফুলের শোভায় তারুণ্যের উচ্ছাসে ভালোবাসা দিবস
ভোলায় ফুলের শোভায় তারুণ্যের উচ্ছাসে ভালোবাসা দিবস
ছোটন সাহা: অপরুপ সাজে প্রকৃতির বদলে যাওয়ার সাথেই যেন হৃদয়ে দোলা দেয়, এ দোলা শুধু ঋতুরাজ বসন্তের জন্য। মানবহৃদয়ে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দ উচ্ছাস। সাথে গোলাপ আর রজনীগন্ধার শোভায় উচ্ছাসিত মন। বসন্তের আনন্দ শেষ হতে না হতেই ভালোবাসা দিবসের আগমন। অফুরন্ত ভালোবাসায় ছড়িয়ে যায় যেন তারুন্যের । ফুলের শোভায় উচ্ছাসিত ১৪ ফেব্রুয়ারী। প্রিয়জনের হাতে হাত রেখে ভালোবাসা জানান দেয়ার এক প্রাণবন্ত দিন। এ ভালোবাসা শুধু তরুন-তরুনীরা, যুবক-যুবতীর মধ্যে নয়, ছড়িয়ে পড়–ক সবার হৃদয়ে। প্রকৃতির অমূল বদলে যাওয়া পহেলা ফাল্গুনের মত ভালোবাসা দিবসের বহিঃপ্রকাশ ভোলাতেও।
সারি সারি ফুলের দোকানে ছেড়ে গেছে ভোলা শহরের সদর রোড সহ বিভিন্ন অলিগলি। এসব ফুলের সেখানে তরুণ-তরুণীদের উপছে ভীড় দেখা গেছে। প্রিয়জনকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভালবাসা দিবসে ফুল উপহার দিতে আগাম ফুলের দোকানগুলোতে ভীড় করছেন তরুণ-তরুণীরা। ফুলের দোকানে শোভা পাচ্ছে গোলাপ, রজনীগন্ধা, চন্দ্র মল্লিকা, গাঁদা, জিপশি, ডালিয়া, গ্লাডিওলাশ সহ হরেক রকমের বাহারী ফুল। তবে দোকানগুলোতে গোলাপ ও রজনীগন্ধাই বেশী বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
সদর রোড ঘুরে দেখা গেছে, অসংখ্য ফুলের দোকান। বাহারী সব ফুলের পসরা সাজিয়ে তুলেছেন দোকানে। ক্রেতাদের আরো বেশী আকৃষ্ট করতেই চলছে গান। পাশাপাশি ফুলের বাহারি সমারোহ। যেন অন্যরুপের সেজেছে শহর। আগাম ফুল কিনতে তরুণীদের উপছে পড়া ভীড়। নানা রঙ্গে সাজছেন তরুণীরা।
ফুলের স্টল ও বিয়ে বাজার শপিং মলের স্বত্তাধিকারী মনিরুল ইসলাম বলেন, ফুলের দোকানের গত বছরের তুলনায় এ বছর কেনা-বেচা অনেক বেশী। চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। সোমবার থেকে শুরু হওয়ায় ফুল বিক্রি চলবে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত। ফুলের দোকানে দাম যাই হোক, প্রিয়জনকে একটি ফুল দিবেন সেই আশাতেই ছুটে আসছেন তরুণ-তরুণীরা।
সাংস্কৃতিককর্মী তালহা তালুকদার বাধঁন বলেন, প্রিয়জনকে ফুল দিতে ফুলের দোকানে তরুণীদের ভীড়। ঋৃতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ভালোবাসা দিবস, এ কারনেই একটু উচ্ছাস দেখা গেছে তাদের মাঝে।
ক্রেতা মুনিয়া ও রিয়া বলেন, ফুল পবিত্র, ফুল ভালোবাসার প্রতীক, তাই বিশেষ দিনে প্রিয় মানুটিকে ফুল দিতে হবে। এ জন্য ফুলের দোকানে আসা।
তরুণ সৈকত জানায়, উপহার হিসাবে ফুলের চেয়ে আর আর কিছুই বেষ্ট হতে পারেনা, ফুলের মাঝেই হারিয়ে যেতে চাই, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে তাইতো প্রিয়জনের জন্য ফুল কিনেছি।
তরুণী জেসমিন বলেন, সবার জীবনে আনন্দ বয়ে আনে ভালোবাসা, এ দিবসে প্রিয়জনকে ফুল দেয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম।
তরুনী নাদিয়া জানান, ভালোবাসা শুধু প্রিয়জনের জন্য নয়, বাবা-মা, ভাই-বোনদের জন্যও। তাইতো পরিবারের সবাইকে ফুল দিতে ফুলের দোকানে আসলাম।
এদিকে, শুধু সদর রোড নয়, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে নতুন করে সেজেছে ভোলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এসবের মধ্যে রয়েছে তুলাতলী, খেয়াঘাট ব্রীজ, ভেলুমিয়ার শেষ প্রান্ত, শান্তিরহাট, বাঘমার ব্রীজ, পৌর ও জেলা পরিষদ চত্বর, সরকারি স্কুল মাঠ, ইলিশ ফোয়ারা ও ভোলা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় চত্বরের জলপ্রপাতে দর্শনার্থীদের সমাগম। ভীড় লক্ষ্য করা গেছে ভোলার বিউটি পার্লারগুলোতেও। সেখানে নিজেকে আরো বেশী আকর্ষনীয় ও সুন্দর করে তুলতে সাজছেন তরুনীরা।
এ বিষয়ে বিউটিশিয়ান বলেন, ভালোবাসা দিবসে সাজতে আসা তরুনীদের একটি চাপ বেশী। এখানে হারবাল, গোল্ড, হোয়াইট, ফেয়ার পলিস, ফ্রুট, সিলভার, পর্ল, চন্দ্রন ও নীমের ফেসোয়াল করা হচ্ছে। তবে হোইয়াইট, ফ্রটো ও ফেয়ার পালিসের প্রতি আগ্রহ বেশী তরুনীদের।
-এফএইচ