সোমবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ডেট লাইন ৮ ফেব্রুয়ারি
ডেট লাইন ৮ ফেব্রুয়ারি
ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটি নিয়েই এখন আবর্তিত হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। সার্চ কমিটি তাদের কাজ শেষ করার জন্য ১০ কার্যদিবস হাতে রেখেই নিজেদের কর্মপন্থা চালিয়ে যাচ্ছে।এরই মধ্যে সার্চ কমিটি দেশের ৩১ রাজনৈতিক দলের কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের জন্য নাম চেয়েছে। মঙ্গলবার সকালের মধ্যে সেসব নাম জমা পড়বে বলে সার্চ কমিটি আশা করছে।
সার্চ কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা যা করার ৮ ফেব্রুয়ারি মাথায় রেখেই করব।’
৮ ফ্রেব্রুয়ারি বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং একজন ছাড়া বাকি কমিশনারদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
সার্চ কমিটির ওই সদস্য জানান, রাজনৈতিক দল এবং বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে নামের প্রস্তাব পাওয়ার পরই তারা দ্রুত নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে চান।
মঙ্গলবারের মধ্যেই সার্চ কমিটি তাদের কাজ শেষ করতে চায় বলে কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
সার্চ কমিটির একজন সদস্য জানান, রাজনৈতিক দল, বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে নামের প্রস্তাব ছাড়াও কেউ যদি নিজেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্য মনে করেন তাহলে তিনিও নিজের নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আগ্রহী ব্যক্তিকে তার জীবনবৃত্তান্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে জমা দিতে হবে। সার্চ কমিটির ওই সদস্য জানান, এরইমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে কেউ তার নিজের নাম প্রস্তাব করলে যেন আগ্রহী ব্যক্তির জীবনবৃত্তান্ত জমা রাখা হয়।
এমন আগ্রহী কেউ কেউ সার্চ কমিটির কোনো কোনো সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে।
সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশার হিসেবে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে। সেখানে থেকে রাষ্ট্রপতি পরবর্তী নির্বাচন কমিশন ঠিক করবেন। যদিও রাষ্ট্রপতি চাইলে সে সব নাম থেকে কোনো নাম গ্রহণ না করার এখতিয়ার রাখেন।
জানা গেছে, সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সাবেক আমলাদের তুলনামূলক অগ্রাধিকারের বিষয়টি ভাবছে এবং চিন্তায় রেখেছে। কমিটির সদস্যদের মতে, প্রধান নির্বাচন কমিশানর যিনি হবেন তার আইন সম্পর্কে অতীত অভিজ্ঞতা এবং ভালো ধারণা থকলে নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করা সুবিধা হয়। তাছাড়া সাবেক আমলাদের পক্ষেও কমিশন পরিচালনায় ভূমিকা রাখা সুবিধাজনক।
সার্চ কমিটি গঠনের পর থেকে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল এ বিষটি নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশায় সাবধানী পা ফেলছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। বিশেষ করে প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামসহ নিজস্ব ফোরামে একাধিক সভা করছেন গত দু’দিন।
ইতোমধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালদা জিয়া দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সভা করেছেন। ২০ দলীয় জোট নেতারাও আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক সভা করছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা সার্চ কমিটিতে নাম দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এটি আমাদের দলের চেয়ারপারসনের নেওয়া ইনিশিয়েটিভ।’
এরইমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাব প্রসঙ্গে তৎপর। সিনিয়র নেতা পর্যায়ে পৃথক আলোচনার পাশাপাশি দলের শীর্ষ নেতারাও এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো একগুঁয়েমি করেনি। সার্চ কমিটি গঠন ছাড়াও নির্বাচন কমিশন করা যেতো। কিন্তু সরকার তা করেনি।’
-পিডি