শনিবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় আ’লীগ নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে সাংবাদিক তুহিনের বাগান বাড়ি দখলের পায়ঁতারা
ভোলায় আ’লীগ নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে সাংবাদিক তুহিনের বাগান বাড়ি দখলের পায়ঁতারা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের দু’জন পরিচ্ছন্ন শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধির নাম ভাঙ্গিয়ে ভোলা সদরের চরসামাইয়া এলাকায় স্থানীয় মহিলা মেম্বার অমেনা বেগম তার পিতা একটি চাঁদাবাজী মামলায় জেলখাটা ছিদ্দুকুর রহমান ও তার ভাই পাতি মোস্তান নোমানের বিরুদ্ধে সরকারের ট্যাক্সকার্ডধারী ভোলার একজন সিনিয়র সাংবাদিকের বাগান বাড়ী দখলের চেষ্টা করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, দৈনিক ইত্তেফাক, এটিএন বাংলা ও বিডি নিউজের ভোলা প্রতিনিধি আহাদ চৌধুরী তুহিন ২০১২ সনে ভোলা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের ৪৬৫৬ নং ছাপকবলা দলিল মূলে মো: আবুল কাশেম, মো: কামাল হোসেন, মো: মাহাবুব আলম দুলাল, সর্ব পিতা জয়নাল আবেদীন, সাং চরসামাইয়া ভোলা থেকে ভোলা সদরের ৮৬ নং চরসামাইয়া মৌজার এসএ ৪৪/১৫১ খতিয়ানের ১৮১৬/১০৯৮/৩৯৫/৩৯৭/১০৮২নং দাগের ৬৩.৫০ ( সাড়ে তিষট্টি) শতাংস নাল জমি ক্রয় করেন। এরপর সেখানে পুকুর খনন ও বাগান ও বাড়ীর ভিটা তৈরি করেন। চলতি মাসের দুই তারিখে ওই জমিতে তিনি একটি বাংলো ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। গত ২৪ জানুয়ারী স্থানীয় চর সামাইয়া ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার আমেনা বেগমের ভাই পাতি মোস্তান নোমান তার সাথে কয়েকজন মাস্তান নিয়ে ওই নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে এবং তার কেয়ারটেকার মো: জামালকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে চলে আসেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মহাজন এ ব্যাপারে নোমানকে তার কোন দাবী থাকলে ডকুমেন্ট নিয়ে বসার জন্য অনুরোধ করেন। নোমান প্রথমে বসার জন্য সময় দিয়েও পরে বসবেনা বলে বাবুল মহাজনকে জানায় । এরপর ও নোমান কাজে বাধা দিলে সাংবাদিক আহাদ চৌধুরী বিষয়টি ভোলা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ জানুয়ারী ভোলা থানার ওসি মীর খায়রুল কবির নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পর মহিলা মেম্বারের পিতা একটি চাঁদাবাজী মামলায় জেলখাটা ছিদ্দুকুর রহমান মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ভোলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন । আদালত এর প্রেক্ষিতে সেখানে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। ২৬ জানুয়ারী সন্ধ্যায় আদালতের আদেশে প্রাপ্তির পর সাংবাদিক আহাদ চৌধুরী তুহিন নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে ২৭ জানুয়ারী সকাল ৯ টার দিকে মহিলা মেম্বার আমেনা বেগমের নেতৃত্বে তার স্বামী, পিতা ছিদ্দুকুর রহমান,ভাই নোমান প্রায় ২০ জন নারীসহ প্রায় অর্ধশত লোক নিয়ে আহাদ চৌধুরীরর বাগান বাড়ীতে প্রবেশ করে বাড়ীর সামনে তাদের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বাড়ী দখলের চেষ্টা করেন। সেখানে তারা ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের দু’জন পরিচ্ছন্ন শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে বলেন তাদের সাথে কথা বলে তারা জমি দখল করতে এসেছেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলে ভোলা থানা পুলিশ সেখানে যেয়ে আমেনা গংদের সেখান থেকে বের করে দেন।
আহাদ চৌধুরী তুহিন ভোলা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন তারা যেন আলাদা আলাদা ভাবে একজন ম্যাজিষ্ট্রেট, একজন পুলিশ কর্মকর্তা, ডিজিএফআই এবং এনএসআই’র মাধ্যমে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বর্তমানে ওই বাংলো নির্মাণ স্থানে সাংবাদিক আহাদ চৌধুরীরর প্রায় তিন লক্ষ টাকা মূল্যেও ইট, রড, সিমেন্ট, ব্রিকচিপ, টোক বালি, সিলেট বালি, প্লেনশীট ও সাটারিং মালামাল রয়েছে। তিনি আশংকা করছেন আমেনা গংরা রাতের আধারে যেকোন সময় ওই মালামাল চুরি করে নিয়ে যেতে পারেন । এজন্য তিনি আদালতের মাধ্যমে মালামালের পুলিশী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন ।
-এসিটি/এফএইচ