শুক্রবার ● ২৭ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহন পূর্ব মহেষখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়েমের অভিযোগ
লালমোহন পূর্ব মহেষখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়েমের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি: লালমোহন পূর্ব মহেষখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী পিংকুর বিরুদ্ধে সীমাহিন দূর্নীতি ও অনিয়েমের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় ছাত্রছাত্রী অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে পূর্ব মহেষখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। শুরুলগ্ন থেকে ঐ স্কুলের জমি দাতা ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেন। নুরুন্নবী প্রধান শিক্ষক, নুরুন নাহার চম্পা সহকারী শিক্ষক, সাজেদা বেগম সহকারী শিক্ষক, তানিয়া বেগম সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ৬বছর যাবৎ শিক্ষকতা করে আসছে। বাংলাদেশ সরকার ২৬ হাজার ৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা করলে এই স্কুলটি ৩য় ধাপে জাতীয়করণ হয়। এর মধ্যে অনলাইনে মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে তালিকা অর্ন্তভূক্ত করা হলে ফাইনাল তালিকার সময় সাজেদা বেগমর নাম বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক নুরন্নবী ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের আনোয়রা বেগমের নাম প্রেরণ করেন। এবিষয়টি টের পেয়ে সাজেদা বেগম স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অলিউল্যাহ মিয়াকে জানাইলে তিনি প্রধান শিক্ষক নুরন্নবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনলাইনে নাম ভুলে সাজেদার পরিবর্তে আনোয়ারার নাম হয়েছে। পরে সভাপতি অলিউল্যাহ মিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রকৃত শিক্ষককে বাদ দিয়ে অবৈধ ভাবে অন্য শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে দরখান্ত করেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেন। সে মোতাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার গত ২১/০১/২০১৭ইং তারিখে সকাল ১০ টার সময় সকল শিক্ষক ও কমিটির লোকদেরকে অবহিত করে স্কুল পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন কালে প্রধান শিক্ষক নুরনবী, সহকারী শিক্ষক নুর নাহার চম্পা, সহকারী সাজেদা বেগম ও সহকারী শিক্ষক তানিয়ার স্বাক্ষর সম্মলিত ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সালে অদ্য পর্যন্ত শিক্ষক হাজিরা খাতা পরিদর্শন করিয়া স্বাক্ষর করেন এবং উপস্থিত গণ্যমান ব্যক্তিবর্গের স্বাক্ষী গ্রহণ করেন। বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টিগোচর হলে গত ২৫/০১/২০১৭ইং তারিখে স্কুল চলকালীন সময়ে স্কুলে গেলে সেখানে সহকারী শিক্ষক নুর নাহার চম্পা, সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম ও সহকারী শিক্ষক তানিয়া ও সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে উপস্থিত পায়। প্রধান শিক্ষক নুরনবীকে অনুউপস্থিত পাওয়া যায়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সকল ছাত্র/ছাত্রীর ও সহকারী শিক্ষকগণ অভিযোগ করেন, আমরা স্কুল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাজেদা আপাকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়মিত স্কুলে ক্লাস নিতে দেখি। ঐ আনোয়ারা নামে কোন শিক্ষক আমরা আজ পর্যন্ত স্কুলে দেখিনি। এরকম দুর্নীতি করে যদি কেউ সাজেদা আপাকে শিক্ষিক থেকে বাদ দিয়ে থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শান্তি দাবী জানাই এবং সাজেদা আপাকে স্কুলের শিক্ষক হিসেবে বহাল রাখার আবেদন জানান।
এব্যাপারে অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী পিংকুর ব্যবহীত মোবাইল ফোন রিসিভড না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তার নির্দেশে আমি পূর্ব মহেষখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১ জানুুয়ারী তদন্ত করতে যাই। সে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করি। কে প্রকৃত শিক্ষক তা যাছাই করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
-এএইচটি/এফএইচ