রবিবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলার মেঘনায় অবৈধ বিহিন্দি জালে ছোট মাছ নিধন
ভোলার মেঘনায় অবৈধ বিহিন্দি জালে ছোট মাছ নিধন
বিশেষ প্রতিনিধি: শীত মৌসুমকে সামনে রেখে ভোলার মেঘনার উপকুল জুড়ে চলছে মাছের বংশ বিনাশ কারী অবৈধ বিহিন্দি ও মশারী জাল বসানোর প্রস্তুতি। এজন্য পুলিশ, কোস্টগার্ড, মৎস্য অফিসকে ম্যানেজ করার জন্য মাঠে নেমেছে দালাল চক্র। যে কারনে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে মা ইলিশ প্রজনন কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।
জানা গেছে, মেঘনার তজুমদ্দিনের বাসনভাঙ্গাচর, লতারচর, চরজহিরউদ্দিন, বোরহানউদ্দিনের মির্জাকালু, হাকিমুদ্দিন, মনপুরার কাউয়ারটেক, রামনেওয়াজ, চরফ্যাসনের ঢালচর, পাতিলা, চরকুকরি-মুকরি সহ বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতি বছর সকল জাতের মাছের বংশ বিনাশকারী প্রায় ১ হাজার বিহিন্দী জাল বসানো হয়। এসব অবৈধ জালে ইলিশ, পাঙ্গাস, পোয়া মাছের পোনা সহ নদীতে পাওয়া যায় এমন সকল প্রকার মাছের পোনা মারা যায়। প্রতি বছর নদীর মাছের পোনা অবাধে শিকার করার জন্য একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে পুলিশ, কোস্টগার্ড, মৎস্য অফিস সহ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করা হয়। এবছরও চলছে একই ধরনের প্রস্তুতি।
শশীগঞ্জ ঘাটের মৎস্যজীবি জাহাঙ্গীর মাঝী, তাহের মাঝি জানান, মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ দেয়ার জন্য প্রতি বছর সরকার নিষেধাজ্ঞা জারী করে জেলেদের মাছ ধরতে দেয়না। অথচ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ওই মাছের পোনা অবৈধ বিহিন্দী জাল, মশারী জাল দিয়ে অবাধে মারা হয়।
মনপুরার মৎস্যজীবি আবুল কালাম মাঝি জানান, ২২ দিন জেলেদের মাছ ধরতে না দিয়ে কোটি কোটি টাকা বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ মেঘনা মোহনায় এক হাজারেরও বেশী বিন্দি জাল দিয়ে ইলিশ সহ বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ধ্বংস করা হইতেছে।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ) আয়েশা খাতুন বলেন, অবৈধ জাল পাতার সংবাদ পেলে অভিযানের মাধ্যমে তা উচ্ছেদ করা হবে।
তজুমদ্দিন কোস্টগার্ড কন্টিজেন্টের কমান্ডার বলেন, আগে কি হয়েছিল তা আমাদের জানা নেই। অবৈধ জালের পয়েন্ট গুলো চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনা করা হবে। নিয়মিত টহলের মাধ্যমে সকল প্রকার মাছের বংশ রক্ষা করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-আরএস/এফএইচ