বুধবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলার আঞ্চলিক সড়কে চলছে অনুমতি বিহীন মডিফাই গাড়ি
ভোলার আঞ্চলিক সড়কে চলছে অনুমতি বিহীন মডিফাই গাড়ি
সাব্বির আলম : ভোলার বিভিন্ন সড়কে চলছে সরকারী অনুমুতি বিহিন মডিফাউ গাড়ি। ব্রেক নেই, গিয়ার নেই, বসার ভালো ব্যবস্থা নেই, ভালো হেডলাইট নেই, কোন কাগজপএ নেই, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, এই নেই, সেই নেই, এই গল্প জেলার আঞ্চলিক সড়কে চলা নসিমন, ভটভটি ও মডিপাই টেম্পুর। স্যালোইঞ্জিন জেলার আনাচে কানাচে অনুমতি বিহীন বিভিন্ন ওয়ার্কশপে তৈরি করা এই ভটভটি, মডিপাই টেম্পুর আছে শুধু পরিবেশ দূষণকারী কালো ধোঁয়া, কান ফাটানো বিকট শব্দ আর প্রায়ই রাস্তায় মারাক্তক দূর্ঘটনা। বিআরটিএ এগুলো চলাচলে অযোগ্য ঘোষণা করলেও সামান্য কিছু উৎকোচের বিনিময়ে প্রসাশন এদের আটক তো দুরের কথা বরং পরেনা যে চলাচলের জন্য রোড ফারমিটই করে দেয়।
টেম্পু চালক হাচান জানায়, সে আগে মেকানিক্স এর কাজ করত তা দিয়ে সংসার চালাতে সে হিমসিমে পরতে হত। তাই সে প্রথমে মডিপাই টেম্পুতে হেলপা হিসেবে কাজ করত। আস্তে আস্তে ড্রাইভিং শিখে সে এখন মডিফাই চালক। মডিফাই চালিয়ে এখন তার সংসার ভালোই চলছে। সে আরো জানায়, এটি ডিজেলে চলে তাই জ্বালানি খরচ কম।
এছাড়া টেম্পুর মত এত যন্ত্রপাতি নেই। তাই কষ্ট হয় কম। সর্ব পরি এতে লোক নেয়া যায় টেম্পুর প্রায় ডাবল। ফলে আয় অনেক বেশি হয়। ব্রেক, গিয়ারের বিষয়ে সে জানায়, ব্রেক আছে তবে আস্তে আস্তে ধরে ফলে একটু দুরে গিয়ে থামাতে হয়। আর প্রথম গিয়ার টা একটু খেয়াল করে সতর্ক ভাবে দিতে হয় তার পরের গুলো আর সমস্যা হয় না। কাগজ পত্রের বিষয়ে জানায়, কাগজ পত্র এখন আর লাগেনা পুলিশ আমাদেরকে দরেনা। দরলেও সমিতির লোক জনের সাথে কথা বলার পর ছেড়ে দেয়।
লালমোহনের কয়েক টি ওয়ার্কসপে তৈরী করা হয় অনুমতিবিহীন এ গাড়ি গুলো। ওয়ার্কসপ থেকে এগুলো দের লাখ থেকে ১ লক্ষ আশি হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। এব্যাপারে মডিফাই তৈরী করা এক মেস্ত্রী জানায়, একটি গাড়ি তৈরী করলে প্রায় ৩০/৪০ হাজার টাকা লাভ করা যায়। তাই ওয়ার্কসপ মালিকরা অন্যান্ন কাজের চেয়ে টেম্পু বানানোর প্রতি আগ্রহ বেশি। তিনি আরোজনায়, একটি গাড়ি তৈরি করতে প্রায় ১৫/২০ দিন সময় লাগে ৩ জন মেস্ত্ররীর। সেই হিসাবে তারা মাসে ২ টি গাড়ি তৈরী করতে পারে। এ ব্যাপারে বিআরটির এক কর্ম কর্তা জনান, এসব গাড়ি সম্পূন্ন অবৈধ। এদের কাগজ পত্রতো দুরের কথা নাম্বার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নেই। এদের আটক করলেও পরতে হয় বিশাল সমস্যায়। যে হেতু এদের কোন নাম্বার নেই তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও করা যায় না।
-এফএইচ