সোমবার ● ৭ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বোরহানউদ্দিনে কর্মজিবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলে সার্টিফিকেট বাণিজ্য
বোরহানউদ্দিনে কর্মজিবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলে সার্টিফিকেট বাণিজ্য
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: বর্তমান সরকারের দেয়া কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচির ভাতা দিচ্ছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। এর সুবিধাভোগী মহিলা গর্ভকালিন কিনা নিশ্চিত করে একজন ডাক্তার সার্টিফিকেট দিতে হয়। আর এ সুযোগে বোরহাউদ্দিন স্বাস্থ্য উপ-সহকারী আবুল কালাম আজাদ প্রত্যেক মহিলার কাছ থেকে বাধ্য করে ২-৩ শত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিতে চাইলে মহিলাদের সাথে খারাপ আচারণ করে টাকা নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা গেছে, বোরহানউদ্দিন পৌর সভায় কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচির আওতায় ৬০ জনকে মহিলাকে ভাতা দেয়া হবে। প্রত্যেক মহিলাকে প্রতিমাসে ৫ শত টাকা করে ২৪ মাস পর্যন্ত এ সুবিধা দেয়া হয়। ওই সুবিধাভোগী মহিলা গর্ভকালিন কিনা নিশ্চিত করে সার্টিফিকেট দেন একজন ডাক্তার। আর এ সুযোগে কিছু অসাধু ডাক্তার সার্টিফিকেট নামে বাণিজ্যে করার অভিযোগ উঠেছে।
পৌর ৮নং ওয়ার্ডের শারমিন বেগম ও রেশমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা গর্ভকালিন কিনা সেটা নিশ্চত করে সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের কাছে যাই। সে সার্টিফিকেট হাতে দিয়ে ২-৩ শত টাকা করে দাবী করেন। সরকার আমাদেরকে বিনা পয়সায় ভাতা সুবিধা দেবে। আর আপনি তা নিশ্চিত করতে টাকা চাচ্ছেন। এ কথা বলার পর সে আমাদের উপর আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে খুব খারাপ আচরণ করেন এবং বাধ্য করে আমি সারমিন বেগম থেকে ১ শত টাকা ও আমি রেসমা বেগমের কাছ থেকে ২ শত টাকা নিয়ে নেয়। সে টাকা নিয়েও আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করলো কেনো এটা বিচার চাই।
এব্যাপারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা জেসমিন বলেন, ভাতা ভোগী মহিলাদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নামে কোন টাকা নেয়া অন্যায়।
এব্যাপারে বোরহাউদ্দিন স্বাস্থ্য উপ-সহকারী আবুল কালাম আজাদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার বলেন, প্রাকটিস চলাকালিন সময় কিছু মহিলা সার্টিফিকেট নিতে এসে তারা খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। কিন্তু বাধ্য করে টাকা নেই এবং খারাপ আচরণ এ কথা সত্য নয়।
এএম/এফএইচ