বোরহানউদ্দিনে বিয়ের নামে প্রতারণায় ইউপি তথ্য উদ্যোক্তার হাজতবাস

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে এক নারীকে এসিড দিয়ে বুকে নাম লেখা ও বিয়ে  পর অস্বীকার করায় সোমবার পক্ষিয়া ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আদালত তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।  মামলার অভিযুক্ত আসামী হিসেবে মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয় করা হয়, বোরহানউদ্দিন থানার ওসি রতন কৃষ্ণ রায় চৌধুরী ও ইউপি চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদার জানান, মিজান তার পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা থাকাকালিন নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। সোমবার তার ব্যবহৃত কম্পিউটারে রক্ষিত নানা তথ্য ও  প্রমাণ পাওয়া গেছে। চরফ্যাশনের এক প্রাইমারী স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী সারমিন আক্তার জোনাকীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভুয়া নোটারীর  মাধ্যমে বিয়ের কাগজ তৈরী করে দুই সন্তান ও স্বামীর সংসার রেখে সারমিন মিজানের ফাঁদে পা দিয়ে  ভাড়াটে বাসায় বসবাস শুরু করে। সর্বশেষ ঈদের আগে মিজান সারমিনের সঙ্গে সর্ম্পক অস্বীকার করে  পারিবারিকভাবে অপর এক মেয়েকে বিয়ে করে। এ ঘটনায় সারমিন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দাবি করেন। অপরদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় মিজান আটক হয়। মঙ্গলবার আদালত হাজির করা হলে মিজানের জামিন না মনজুর করে জেল হাজতে পাঠায়। এদিকে সারমিন জানান, মিজান একজন প্রতারক। তাকে ফাঁদে ফেলে  সংসার বিনষ্ট করেছে। মিজানের মত প্রতারকদের  শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এসএম/এফএইচ