রবিবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » তজুমদ্দিনের বড় মলংচড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ
তজুমদ্দিনের বড় মলংচড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সীমান্তবর্তী বিচ্ছিন্ন এলাকা তজুমদ্দিন উপজেলার ১নং বড় মলংচড়া ইউনিয়নের মামলার জটিলতায় প্রায় এক যুগেও ইউপি নির্বাচন হচ্ছে না। আর এ সুযোগে ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বাবুল নানা অনিয়ম করে অর্থ লুটপাট করে যাচ্ছে বলে এমনি অভিযোগ তুললেন ৯ জন ইউপি সদস্যবৃন্দ। তার এসকল নানা অনিয়মের বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ প্রেরণ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১০/১২ বছর যাবত ১নং বড় মলংচড়া ইউনিয়নে মামলার জটিলতার কারণে নির্বাচন না হওয়ায় ওই ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বাবুল কোন ইউপি সদস্যকে তোয়াক্কা না করে একক ভাবে ভিজিডি, ভিজিএফ, জি,আর, মৎস্যের চাউল, বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, এলজিএসপি সহ নানা প্রকল্পে অন্যায়ভাবে নামে বেনামে উত্তোলন করিয়া আত্মসাৎ করিয়া আসিতেছে। মৎস্য ভিজিএফ ৮শত ৫০ জন ৪ মাসের চাউল ১৬০ কেজির পরিবর্তে ৫৫/৬০ কেজি করে বিতরণ করে। বাকী চাউল তিনি আত্মসাৎ করেন। জি,আর, ১২শত টন চাউলের স্থলে ২ টন দেয়া হয় বাকী ১০ টন চাউল আত্মসাৎ করেন। গত ঈদুল ফিতরের ৭৫০ জনের ২০ কেজি করে ভিজিএফ চাউল এখনো বিতরণ করেন নি। ওই চাউলও আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলেন।
ওই ইউপি চেয়ারম্যান বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বসবাস করেন। তজুমদ্দিন উপজেলা হতে বিচ্ছিন্ন চরে (ছিডার চড়) ১নং মলংচড়া ইউনিয়নে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে না এমনকি বছরেও একবার যাতায়াত করেন না ওই ইউপি চেয়ারম্যান। তার এহেন কর্মকা-ে জনগণ অতিষ্ট। গত ১ আগস্ট ১০জন ইউপি সদস্যগণ একমত হয়ে ২নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো.জাহাঙ্গীর কে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। কিন্তু ওই ইউপি চেয়ারম্যান তা মানতে না রাজ।
অভিযোগে আরোও জানা গেছে, ওই ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদে ইউপি সদস্যেদের কে নিয়া কোন সভা করেন না। এমনকি কোন প্যানেল চেয়ারম্যানের তালিকাও গঠন করেন নি। এছাড়া রেজুলেশন ছাড়া কোন প্রকল্প তালিকা কিংবা কার্যক্রম ইউএনও অফিসে গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তিনি কিভাবে বে-আইনীভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে?
গত ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের প্রায় ৯ লক্ষ টাকা এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থ বৎসরের এলজিএসপি’র প্রায় ১০ লক্ষ টাকা কোন কাজ না করিয়া ওই ইউপি চেয়ারম্যান সরকারী টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করার অভিযোগ তুলছেন ওই ইউপি সদস্যবৃন্দ।
এদিকে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের এসকল কর্মকান্ডের সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে গত ২৮ আগস্ট তারিখে বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ করেন ৯ জন ইউপি সদস্য।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বাবুলের সাথে আলাপকালে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, আমি বিএনপি সমর্থীত চেয়ারম্যান। তাই পরিষদ চালান আ’লীগের ইউপি সদস্যবৃন্দ। যাদেরকে অনিয়ম করতে দেয়া হচ্ছে না। তারাই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন বলেন, অনিয়মের কোন অভিযোগ আমার কাছে দেয় নি। কিন্তু অনিয়মের অভিযোগের কিছু অনুলিপি পেয়েছি। অনুলিপির আলোকে তো আমি কিছু করতে পারি না।
তিনি আরোও বলেন, কয়েকজন ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান তৈরি করে রেজুলেশন কপি নিয়ে এসেছেন। তাদেরকে বলেছি সবাইকে নিয়ে বসবো। কিন্তু তারা আর আসেনি।
এএম/এফএইচ