রবিবার ● ২৮ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মনপুরার মেঘনায় জেলের উপর কোস্টগার্ডের হামলা
মনপুরার মেঘনায় জেলের উপর কোস্টগার্ডের হামলা
মো.ছালাউদ্দিন,মনপুরা: ভোলার মনপুরার জেলেদের উপর হাতিয়া কোস্টগাডের্র অসজৈন্য মুলক আচরণ,মারধার ,মোবাইল সিম ও ট্রলার থেকে প্রতিনিয়ত মাছ নেওয়ার অভিযোগ করেন মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা। রবিবার রাত ৩টায় জাগলারচর সংলগ্ন মেঘনায় মনপুরার মহিউদ্দিন মাঝি তার ট্রলারে থাকা ৬ জন জেলে নিয়ে ইলিশ মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। হাতিয়া জোনের কোস্টগার্ডর একটি টিম এসেই তাদের ট্রলারে উঠে জেলেদের সকল মোবাই সিম নিয়ে যায়। মাঝিকে ধরে বেধরক মারধর করেন। এসময় ট্রলারে থাকা অন্য জেলেদেরকেও মারধর করেন। আহত জেলেরা উপজেলা সদরে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ী চলে যায়। জেলেরা জলদস্যু ও কোসটগার্ডের ভয়ে মেঘনায় মাছ ধরতে যাচ্ছেনা।
আহত জেলে গিয়াসউদ্দিন সিকদার মোবাইল ফোনে জানান, আমরা গরীব মানুষ। পেটের দায়ে মেঘনায় ইলিশ শিকার করতে যায়। জাগলারচর সংলগ্ন মেঘনায় জাল ফেলে অপেক্ষা করতে থাকি। হঠাত একটি ট্রলার আসার শব্দ শুনে ভয় পেয়ে যায়। জলদস্যুদের ভয়ে ট্রলার ভিতর ঢুকে যায়। পরে ট্রলারটি কাছে আসলে ট্রলার থেকে বলে আমরা কোস্টগার্ড। পরে আমরা উপরে উঠি। হঠাত কয়েকজন কোস্টগার্ডের সদস্য আমাদের ডাকাত বলে মারধর শুরু করেন। আমাদের ট্রলারের মাঝি মোঃ মহিউদ্দিনকে বেধরক মারধর করেন। আমরা চিৎকার করে বলি,স্যারগো আমরা গরীব মানুষ। কাচ্চা-বাচ্চার জন্য মাছ ধরি। আমরা ডাকাত না। আমাদের জাল নদীতে এখনও আছে। কিন্তু তারা কিছুই না শুনে বলেন, টাকা দিলে মাছ ধরতে পারবি। আমরা আমাদের চেয়ারম্যানের কথা বললে তারা আরও ক্ষেপে গিয়ে আমাদেরে মারধর করেন। আমাদের মোবাইল সিম নিয়ে যায়। তাদের সাথে যোগাযোগ ছাড়া মেঘনায় মাছ না ধরার জন্য বলেন। পরে বিষয়টি আমাদের আড়তদার মনির হাওলাদারকে বলি।
এব্যাপারে আড়তদার মনির হাওলাদার মোবাইল ফোনে বলেন, বিষয়টি আমার মাঝি মোঃ মহিউদ্দিন জানিয়েছেন। হাতিয়ার কোস্টগার্ড আমার মাঝি মাল্লাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, টাকা নিয়ে গেছেন। নদীতে মাছ ধরলে তাদের টাকা দিতে হবে। নচেত মাছ ধরতে পারবনা। প্রতিদিন কোস্টগার্ড জেলেদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেন, ট্রলার থেকে প্রায় মাছ নিয়ে যায়। এদের বিরুদ্ধে কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছিনা। বললে নদীতে মাছ ধরতে দিবেনা। আমরা খুব অসহায়। আমরা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছি।
একদিকে জলদস্যুদের হামলা অন্যদিকে কোস্টগার্ডের হামলা । সাধারণ জেলেরা নিরুপায়। অসংখ্য জেলের একই ধরনের অভিযোগ কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে। জলদস্যুরা কোস্টগার্ডের সাথে যোগসাজসে মেঘনায় জেলেদের উপর প্রায় হামলা চালায়। জেলেদের আটক করে মুক্তিপন আদায় করে ছেড়ে দেয়। মুক্তিপনেরর একটি অংশ কোসটগার্ড পেয়ে থাকেন।
এব্যাপারে হাতিয়া জোনের কোস্টগার্ড প্রধান লেঃ কমান্ডার ওমর ফারুক এর মোবাইল ফোনের বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা কালে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি।
এফএইচ