মঙ্গলবার ● ৯ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » শিরোনাম » ৩৪ কোম্পানির নিষিদ্ধ ঔষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
৩৪ কোম্পানির নিষিদ্ধ ঔষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার: তৃণমূলের সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই জানেনা অ্যান্টিবয়োটিক ওষুধ ব্যবহারের সম্পর্কে। মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ২০ কোম্পানির সব ওষুধ এবং ১৪ টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ, বিক্রি বন্ধ ও বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক ও বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে আদালতের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এর করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি করে সোমবার রায় ঘোষণা করেন।
দেশের যে সকল ২০ কোম্পানির ওষুধ বাজারজাত করা যাবে না সেগুলো হচ্ছে এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা লিমিটেড, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ড্রাগল্যান্ড লিমিটেড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ প্রাইভেট লিমিটেড, জলপা ল্যাবরেটরিজস লিমিটেড, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ড্রাগ ফার্মা লিমিটেড, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, রিমো কেমিক্যালস লিমিটেড (ফার্মা ডিভিশন), রিড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্টার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, টুডে ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
যে ১৪ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না সেগুলো হচ্ছে আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, আলকাদ ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেঙ্গল ড্রাগস অ্যান্ড কেমিক্যালস (ফার্মা) লিমিটেড, ব্রিস্টল ফার্মা লিমিটেড, ক্রিস্টাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এমএসটি ফার্মা অ্যান্ড হেলথ কেয়ার লিমিটেড, অরবিট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, ফিনিক্স কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, রাসা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং সেভ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
সোমবার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার। সোমবার শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালতের নির্দেশের পর ওই ওষুধ কোম্পানিগুলো সিলগালা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আর রুল এখনো পেন্ডিং রয়েছে। এছাড়া রুল পেন্ডিং রয়েছে কিন্তু নিম্নমানের ওষুধ বাজারে থাকবে কেন? সেগুলোও বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
এদিকে উক্ত বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারের পর ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিদের মধ্যে চলছে নানান গুঞ্জন। এই সকল কোম্পানীর ওষুধ গুলো শহরে ডাক্তারগণ সল্প পরিমান লেখলেও তৃণমূল পর্যায়ের এমবিবিএস এবং গ্রাম্য ডাক্তাররা এই সকল ওষুধ কোম্পানীর রিপ্রেজিন্টিভদের সাথে সম্পর্কের কারণে ওষুধগুলো লেখেন। মানসম্মত ওষুধ নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও এখন মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধ অমান্য করে তৃণমূলের ওষুদের দোকান গুলো থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ রয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন আদৌ কি এসকল ওষুধ বিক্রিয় এবং প্রত্যাহার হবে। চরফ্যাশন হাসপাতালের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক মেডিকেল অফিসার বলেন, আদালতের উপরতো কিছু নেই। তা সকলেই মান্য করতে হবে।
এদিকে ওই সকল ওষুধ কোম্পানির এম.আর ও এস. আরদের দাবী কোম্পানীর ওষুধ যদি বিক্রিয় বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের অবস্থা হবে কি? আমরাতো বেকার হয়ে যাব। আমাদের উক্ত কোম্পানীর বেতন-ভাতা দিয়ে দু‘মুঠো ভাত জোটে। আমাদের জন্যে বিকল্প ব্যবস্থারও দাবী জানিয়েছেন কয়েকটি কোম্পানীর প্রতিনিধিরা।
এমএএইচ/এফএইচ