বুধবার ● ৩ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মেঘনায় ইলিশ নেই,হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছে জেলে
মেঘনায় ইলিশ নেই,হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছে জেলে
শাহীন কুতুব: মেঘনা নদীতে ভরা মৌসুমেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না জেলেদের জালে। ফলে জেলেরা ভোর থেকে রাত পর্যন্ত নদীতে জাল ফেলেও মহাজনের তেল ও দু‘বেল ভাতের টাকা জোগার করতে পারছেনা। তাই হতশা নিয়ে বাড়ি ফিরছে জেলেরা।
লালমোহনের মেঘনার ভেড়ীর পারে ছেড়া জাল বুনার সময় হুমায়ুন কবীর বঝি তার ভাষায় বলেন, আমরা বাপ পুতে চার জন জেলে মাঝি। দুইদিন নদীতে গেছি ১টা পুটি মাছও পাই নাই। এহন দোহানদারও তৈল দেয়না, নদীতে যাইনা, আর নদীতেও মাছ নাই, কেমনে যে কি করম, মহাজন ও জেলে কাঠ পাওয়ার কথা দুইডা কিন্তু হিয়ানে কার্ড পাইছি ১টা। ৪ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে ভেড়ীবাঁধের উপর হুমায়ুন মাঝির টংয়ের সংসার। রোয়ানু’র সময় ঘর পড়ি যায়। টিন ১ বান পাইছি। কিন্তু ঘর তোলার টিয়া নাই। তাই ভেড়ীবাঁধের উপর থাকি। ছেলেদের পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে কেমনে পড়ামু পেডের ধান্ধা করুম, না পড়ামু আর বাগিদার লইতে পারিনা, মানুষজন লইতে পারলে হয়ত চিন্তা করতাম দুই এক জনেরে পড়াইতাম এহনতো হেয়ো পাড়িনা কেমনে পড়ামু আমার মাঝারো ছেলে পরছিল, এহন স্কুল বন্ধ করি দিছি। বড় ছেলে মোডেও লেহাপড়া জানেনা। প্রতিদিনই নদীতে থাকি। মাছ না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কারেন জাল (নেটওয়ার পকেট জাল)। হুতার পাতলা জালের পাইর কাডি মাছ জাইতে পারে। কিন্তু কারেণ জালের পাইর কাডি জাইতে পারেণা। কারেণ জাল দিয়া মাছ ধরার কারনে মাছ ধবংস হচ্ছে। আগে কোস্ট গার্ড আসি দোড়াইয়া এক দেশে লইয়া জাইত, ধরি মাইড়ত, জাল পুইড়া লাইত, চালান করি দিত। এখন প্রতি নৌজা ৫০০ টাকা করে ১৫ দিন পর পর দালালদের মাধ্যমে মাঝিরা টাকা পৌছে দিয়ে নদীতে কারেন জালের মাধ্যমে মাছ ধরে। কোস্ট গার্ড এসে বাউল দেয়, জেইডা টাকা দেয় না। নাউ ধরি কোস্ট গার্ড দালালদের কয়, এইডা দরছি। এইডা তো ছার টাকা দিব। ছার দিব কহন দেরি নাই ধরি লই যায়।
এফএইচ