ভোলায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত

স্টাফ রিপোর্টার: ‘শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো,টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ভোলায়  র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় জেলা সিভিল সার্জেন অফিস থেকে ব্যানার ফেস্টুল সম্বলিত বণার্ঢ্য একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালির নেতৃত্ব দেন জেলা সিভিল সার্জেন ডা. ফরিদ। জেলা সিভিল সার্জেন অফিস এর আয়োজনে ও ইউএসএআইডি এর শিখা প্রকল্প, ¯িপ্রং বাংলাদেশ,প্রুফস প্রকল্পের যৌথ সহযোগিতায় পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা.ফরিদ আহমেদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) মো.জসিম উদ্দিন মজুমদার, জুনিয়ার কনসালটেন্ট (সিডিসি) জাকির হোসেন, জুনিয়ার কনসালটেন্ট মো.আব্দুল কাদের, ¯িপ্রং বাংলাদেশ সিনিয়র টেক্যানিক্যাল অফিসার ( নিউট্রেশন) সোনিয়া রহমান, প্রুফস প্রকল্পের জেলা ড্রিস্টিক অফিসার তপন কুমাড় সাহা, ¯িপ্রং বাংলাদেশ সিনিয়র টেক্যানিক্যাল (কৃষি) মো.আব্দুল মান্নন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন, জেলা সিভিল সার্জেন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য  শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শাহাদাত হোসেন। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাসিং ইন্সিটিউটের ছাত্রী তানজিল আকতার ।

বক্তারা বলেন, জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ দিতে হবে। এ সময়ে শিশুকে আলাদা করে পানি পর্যন্ত খাওয়ানোর প্রয়োজন হয় না। কারণ মায়ের দুধ শিশুর পানির পপ্রয়োজনও মেটায়। সঠিক নিয়মে নিয়মিত শিশুকে বুকের দুধ খেতে দিলে শিশু ও মা উভয়ের স্বাস্থ্য  ভালো থাকে। ছয় মাস বয়স পূর্ণ হলে বুকের দুধের পাশাপাশি পারিবারিক খাবার দিতে হবে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত । ফলে মা ও শিশু উভয়েরই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। 

বক্তারা আরো বলেন, মায়েদের স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে জাতি হয় উপকৃত। মাতৃদুগ্ধ পানের মধ্য দিয়ে সন্তান ও মায়ের মধ্যে  তৈরি হয় এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক।  উল্লেখ্য , আগামী ৭ আগস্ট  পর্যন্ত  বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।

এএইচটি/এফএইচ