মঙ্গলবার ● ২ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » চরফ্যাশনের বিছিন্ন দ্বীপাঞ্চলের দেড় লাখ মানুষ আশ্রয়হী, নেই পর্যন্ত পরিমান আশ্রয়ন কেন্দ্র
চরফ্যাশনের বিছিন্ন দ্বীপাঞ্চলের দেড় লাখ মানুষ আশ্রয়হী, নেই পর্যন্ত পরিমান আশ্রয়ন কেন্দ্র
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন: ভোলার দক্ষিণ আইচা থানার বিছিন্ন দ্বীপাঞ্চলের প্রায় দেড় লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ন কেন্দ্রে যাওয়ার হিমশীম খাচ্ছে। দক্ষিণ আইচা থানার আওতাধীন মেঘনা ও সাগর মোহনায় জেগে ওঠা, ঢালচর, কুকরি মুকুরি, চরপাতিলা, চরহাসানসহ বেশ কয়েকটি জনবসতিপূর্ণ দ্বীপে বিশেষ কোনো আশ্রয়ন কেন্দ্র নেই বললেই চলে। ওইসব চরাঞ্চলে প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিশু, নারী ও পুরুষ চরম আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ঢালচরে একটি মাত্র আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। সেটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার নেই। কুকরি-মুকরিতে কোন আশ্রয়ন কেন্দ্র নেই। তবে কুকরি-মুকরি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্বে চরপাতিলায় একটি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যেটিকে কয়েক বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ইলিশের মৌসুম হওয়ায় ওইসব চরাগুলোতে এখন স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষ অবস্থান করছে। এত মানুষের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় তারা ঝড় জলোচ্ছ্বাসে চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
কুকরি-মুকরির চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, এ ইউনিয়নের ১৭ হাজার মানুষের জন্য মাত্র ৮টি স্কুল কাম আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যেগুলোতে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
সাগর মোহনার ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেছেন, এ দ্বীপ ইউনিয়নের ১৫ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একটি আশ্রয় কেন্দ্র আছে। যাতে সর্বোচ্চ ৫শ’ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
উপজেলার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সহকারী পরিচালক মোকাম্মেল হক জানান, উপজেলায় মোট ১১১টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি ব্যবহারের উপযোগী নয়। এ ছাড়া ২৩টি মাটির কেল্লার মধ্যে মাত্র ১০টি কেল্লার বিপদকালীন আশ্রয় নেয়া যায়।
উল্লেখ্য মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরাগুলোতে আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় আইলা, সিডর ও রোয়ানুরমত প্রাকৃতিক ঝড় জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক জান মালের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউর করিম জানান, এই বিষয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের উপ-মন্ত্রী আলহাজ্জ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহাদ্বয়ের সাথে যোগাযোগ হয়েছি, তিনি ঘূর্ণিঝর প্রস্তুতি কেন্দ্র ইতিপূর্বে স্থাপন করেছেন সাধারণ মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ের জন্যে পর্যপ্ত পরিবার ঘুর্ণিঝড় আশ্্রয়ন কেন্দ্র স্থাপন করবেন।
এফএইচ