সোমবার ● ১৮ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ক্যান্সার ঠেকায় রসুন, কার্যকর এইডসের চিকিৎসাতেও
ক্যান্সার ঠেকায় রসুন, কার্যকর এইডসের চিকিৎসাতেও
ডেস্ক : তেঁতুলের কথা মনে হলে যেমন মুখে পানি এসে যায়, তেমনই রসুনের নাম শুনলেই অস্বস্তিকর একটা গন্ধের আভাস পান অনেকে। সাধারণত রান্নার কাজে রসুন বেশি ব্যবহার করা হয়। তখন অবশ্য রসুনের উৎকট গন্ধটা থাকে না। কিন্তু জানেন কি কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা কত? জানলে নিশ্চতভাবে রসুন খওয়ার ভক্ত হয়ে যাবেন।
ক্যান্সার ও শরীরের বিভিন্ন সংক্রমণ ঠেকিয়ে দেয় এই রসুন। জেনে নেওয়া যাক রসুনের উপকারিতা-
প্রাচীন গ্রিসের স্বাস্থ্যবিদ হিপোক্রিটাস (খৃস্টপূর্ব ৪৬০-৩৭৭) জানিয়ে গেছেন, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী রোগ ক্যান্সার নির্মূল করতে প্রচুর পরিমাণ রসুন প্রয়োজন।
তবে ক্যান্সার ছাড়াও নানারকম রোগ ও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে রসুন। মানবদেহের নানারকম বিষাক্ত বা দূষিত উপাদান,যক্ষ্মা, মাইকোটক্সিন স্ট্যাফিলোককাস অরিয়াস, পাকস্থলীতে হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, ক্যান্ডিডা ছত্রাকের সংক্রমণ, হার্পস সিমপ্লেক্স এবং অন্যান্য অসংখ্য প্রদাহ প্রতিরোধে রসুন গুরুতপুর্ন অবদান রাখে।
এমনকি প্রাণঘাতী রোগ এইডসের বাহক ভাইরাস এইচআইভি’র সংক্রমণ এবং ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ ঠেকাতেও রসুন এক দারুণ দাওয়াই।
কীভাবে খাবেন
যদি ক্যান্সারের চিকিৎসায় রসুন খেতে চান, তাহলে পাঁচ থেকে ছয়টি করে রসুনের কোয়া রোগীকে খেতে হবে। প্রতিবার এই পরিমাণ রসুন গ্রহণের আগে রসুনের কোয়াগুলো বেটে বা ভর্তা করে নিয়ে অথবা ছোট টুকরো করে কেটে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এই সময়ে ক্যান্সারবিরোধী শক্তিশালী উৎসেচক বা এনজাইম তৈরি হয়। এই রসুন সকালের নাশতায়, দুপুরের খাবারে, স্যান্ডউইচের সঙ্গে, প্রিয় ফ্লেভারের সস বা মশলার সঙ্গে মিশিয়ে, যেকোনো ভাবেই সুস্বাদু করে নিয়ে খেতে পারেন। তবে খাবারের বিকল্প হিসেবে রসুন গ্রহণ করা যাবে না।
কারণ গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, খাবারের বিকল্প হিসেবে রসুন গ্রহণ করলে তাতে ক্যান্সার-বিরোধী উপাদানগুলো তৈরি হয় না।
রসুনের উপকারিতার ওপর ভিত্তি করে চার হাজার ২৪৫টিরও বেশি গবেষণা রয়েছে মেডিলাইনে (MEDLINE)। এসব গবেষণার ফলাফল আরো চমকপ্রদ।
জানা যায়, কার্ডিওভাস্কুলার বা হৃদরোগ সম্পর্কিত নানা জটিলতা ও ক্যান্সারসহ দেড় শতাধিক অসুখবিসুখ প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় রসুন দারুণ কার্যকরি।
প,ড/ জেট,অার