মঙ্গলবার ● ১২ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » চর মানিকার ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ চলে বিএনপি সভাপতির প্রেসক্রিপশনে
চর মানিকার ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ চলে বিএনপি সভাপতির প্রেসক্রিপশনে
চরফ্যাসন প্রতিনিধি : চরফ্যাসন উপজেলার চর মানিকার চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হাজী সফিউল্যাহ হাওলাদার হলেও ইউনিয়ন পরিষদ ও আওয়ামীলীগ পরিচালিত হচ্ছে চর আইচা থানা বি,এন,পির সভাপতি প্রভাষক রেজাউল করিমের প্রেসক্রিপসনে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার একাধিক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।
অভিযোগে প্রকাশ হাজী সফিউল্যাহ হাওলাদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতিক নিয়ে। নির্বাচনের পরপর একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীর জমি দখল, মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজীর অভিযোগে দলীয় নেতা কর্মীরা দিন দিন ফুসে উঠছে। দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের বঞ্চিত করে খন্দকার রেজাউল পন্থি বিএনপি কর্মীদের পূণর্বাসন করার অভিযোগ উঠেছে।
চরমানিকা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস মৃধা অভিযোগ করে বলেন, হাজী সফিউল্যাহ হাওলাদারের নির্দেশে তার ছোট ভাই ও রেজাউল করিমের ভাই তার চাষকৃত জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য নানা প্রকার হুমকি ধামকি প্রদান করছেন।
চরকচ্ছপিয়া অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম স্মৃতি সংঘের সভাপতি ডা.জাকির বলেন,তার বসত বাড়ী থেকে চেয়ারম্যান হাজী সফিউল্যাহর নেতৃত্বে ক্যাডার বাহিনী দ্বারা তার বাড়ী ঘর দখল করে নিয়ে যায় এবং তাকে নানা ভাবে হুমকি প্রদান করছেন।
চর আইচা ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা কাশেম সুকানী অভিযোগ করে বলেন,তার বসত বাড়িতে খন্দকার রেজাউল এর ক্যাডার ও বিএনপি নেতা মধু সিদ্দিক জোড় পূর্বক জমি দখল করে ফেলেছে। চেয়ারম্যান হাজী সফিউল্যাহ হাওলাদারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়।
দৌলতপুর যুবলীগ নেতা মাকসুদ অভিযোগ করে বলেন, ছাত্র দল সভাপতি মো.হোসেনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে চাঁদা বাজী মামালা করেছেন হাজী সফিউল্যাহ হাওলাদারের নির্দেশে এবং আমার ২০ বছর পূর্বের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি ছাত্র দল নেতাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছেন।
চর মানিকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন,৪০ বছরের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি চেয়ারম্যান হাজী সফিউল্যাহ মোটা অংকের টাকার বিনিময় বিএনপি নেতা শাহ জামালকে দখল করিয়ে দেয়। তার নিকট চর মানিকা আওয়ামীলীগ কোন নেতা কর্মী নিরাপদ নয়। সে বিএনপি সভাপতি খন্দকার রেজাউলের সাথে গোপনে বৈঠক করে তার প্রেসক্রিপশন মত দল মত দল পরিচালিত করছেন। তিনি আরো বলেন দলেল ত্যাগী নেতা কর্মীদের দুরে ঠেলে দিয়ে রেজাউল পন্থি বিএনপির লোকদের সকল সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার সর্ত্তে বলেন, চেয়ারম্যান হাজী সফিউল্যাহ হাওলাদার আমাদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করায় আমরা সকল সদস্য ঐক্যবদ্দ হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কোন সভায় উপস্থিত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো.শাজাহান অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে চর আইচা বেভাইজ্যা স্লুইজ ঘাট লিজ আনলেও চেয়ারম্যানের ভগ্নিপতি মন্নানের নেতৃত্বে একদল ক্যাডার আমাদের জাল কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয় এবং বিএনপির লোককে খালে জাল বসানোর নির্দেশ দেন।
যুবলীগ, ছাত্রলীগ এর একাধিক নেতা কর্মী অভিযোগ করে বলেন,চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে হাজী সফিউল্যাহ দুই পুত্রের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। চর আইচায় উন্নয়ন মেলার নামে ঢাকা থেকে মেয়েদের লগ্ন নৃত্য পরিবেশন করে টিকেটের বিনিময় লাখলাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মেলায় লটারীর পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে পুরস্কার না দিয়ে এলাকার লোকদের সাথে প্রতারণা করেন।
৮নং ওয়ার্ড ইউ,পি সদস্য আ.মান্নান অভিযোগ করে বলেন,চেয়ারম্যান সফিউল্যা হাওলাদার আমাকে পরিষদ থেকে নোটিশ করে অপমান করেছেন। পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন সময় অপমান জনক কথা বলে। আমরা সকল সদস্য দলীয় তার স্বৈরাচারী আচরণ ও খাম খেয়ালী পনার বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাড়াব।
এ ব্যাপারে চর মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী সফিউল্যাহ হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এমআরএম/এফএইচ