বৃহস্পতিবার ● ২৩ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনে স্বাস্থ্য সহকারী জোনায়েদের দায়িত্বে অবহেলায় ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মুখ পিড়িয়ে নিচ্ছেন রোগীরা
লালমোহনে স্বাস্থ্য সহকারী জোনায়েদের দায়িত্বে অবহেলায় ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মুখ পিড়িয়ে নিচ্ছেন রোগীরা
এস ইউ সোহেব: ভোলার লালমোহন রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের লেদন হাওলাদার বাড়ির সামনের কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী জোনায়েদের সেচ্ছাচারিতায় ও দায়িত্বে অবহেলা ও রোগীদের সাথে অসোভ আচারণের কারণে ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মুখ পিড়িয়ে নিচ্ছেন ওই এলাকার সাধারণ রোগীরা। এ ঘটনায় অসহায় ও সাধারণ রোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে জানা যায়, রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের লেদন হাওলাদার বাড়ির সামনের কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী জোনায়েদের সেচ্ছাচারিতায় ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিদিন ফিরে যাচ্ছে সাধারণ রোগীরা। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পযর্ন্ত (সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত) কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলে জোনায়েদের বেলা তা হচ্ছে ভিন্ন। স্বাস্থ্য সহকারী জোনায়েদ রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে ইউনিয়ন সুপার ভাইজার ইউনুছ ও উপরস্থ্য কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এ সকল অনিয়ম করছেন বলে বৃদ্ধপ করে বলে বেড়াচ্ছেন তিনি। জোনায়েদ উপর মহলে ছাত্রছাত্রায় একের পর এক নানা অনিয়ম করে গেলেও পাড় পেয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১.৩০ মিনেটের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লেদন হাওলাদার বাড়ির সামনের কমিউনিটি ক্লিনিকে তালা ঝুলানো অবস্থায় রয়েছে। এসময় এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য সহকারী জোনায়েদ নিয়মিত ক্লিনিকে আসেন না। মাঝে মধ্যে আসলে ও সকাল ১১ টার পরে এসে হাজিরা খাতায় সই করে ১ টার আগেই চলে গিয়ে রায়চাঁদ বাজার নিজের নিজস্ব আলামিন মেডিকেল হলে ঔষুধ বেচা কেনা করেন। ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য এসে প্রতিদিন ঔষুধ না নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসতে হয় এলকাবাসীর।
তারা আরো অভিযোগ করেন, অফিস চলাকালিন সময়ে রোগী নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে স্বাস্থ্য সহকারী জোনায়েদকে না পেয়ে মোবাইল করা হলেও সে নানা অজুহাত দেখিয়ে ক্লিনিকে আর আসে না। মাঝে মধ্যে ক্লিনিকে এসে তাদের পাওয়া গেলেও টাকা না দিলে ভালো ঔষুধ অসহায় রোগীদের কপালে জোটেনা। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে রোগীদের সাথে অসোভ আচারণ সহ লাঞ্ছিত হতে হয় সাধারণ রোগীদের।
এব্যাপারে অভিযুক্ত স্বস্থ্য সহকারী জোনায়েদ বলেন, আমি যে পরিমান ক্লিনিকে সময় দিয় সেটা আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করেন বলে এড়িয়ে যান।
কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিতাদা ও সহ সভাপতি কামালউদ্দিন বলেন, জোনায়েদ ক্লিনিকে কখন আসে, কখন যাবে আমার জানা নেই। তবে একটার পর একদিনও ক্লিনিকে থাকে না এটা সত্য।
ওয়ার্ড মেম্বার ও ক্লিনিক সভাপতি আ. শহিদ বলেন, জোনায়েদ সকাল ৯ টা থেকে ৩ টা পযর্ন্ত ক্লিনিকে থাকার কথা। তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উঠেছে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউনিয়ন সুপার ভাইজার ইউনুছ বলেন, এই বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জোনায়েদ ক্লিনিকে আসা যাওয়ার বিষয়টি আমাকে ফলো করার জন্য বলেছেন। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিত্যনন্দন চৌধুরী বলেন, জোনায়েদের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ এর আগে পেঁয়েছি। আমরা তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিব।
উপজেলার অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে স্বাস্থ্য সহকারীদের সেচ্ছাচারিতায় ও দায়িত্বে অবহেলার করে আসছেন। এইভাবে চলতে থাকলে ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সাধারণ রোগীরা মুখ পিরিয়ে নিবেন বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল । চলবে….
ইউএম/এফএইচ