সোমবার ● ১৩ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » রিপোর্টারের ডায়েরি: ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’
রিপোর্টারের ডায়েরি: ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’
ছোটন সাহা: শুরুটা ১৯ মে থেকেই। যখন ভোলার উপকূলে ৪ নাম্বার সতর্কতা সংকেত চলছে। ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ আঘাত হানবে এমন পূর্বাভাস ছড়িয়ে পড়েছে মিডিয়া পাড়ায়। ব্যস্ততা বেড়ে যায় সংবাদকর্মীদের। সবার চোখ দ্রুত পরিবেশকারী সংবাদমাধ্যমের দিকেই। বিশেষ করে ‘অনলাইন ও টেলিভিশন’ খুব দ্রুত সময় সংবাদ পরিবেশ করায় সেদিকেই মানুষের আগ্রহ।
সন্ধ্যায় ‘রোয়ানু’ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসকের কাছে ফোন করতেই তিনি জানালেন জরুরী বৈঠকের কথা। সহকর্মী আদিল হোসেন তপুকে নিয়ে নিউজ কভারেজ শেষে অফিসে পরিকল্পনা গ্রহণ করছি’।
কখনও আবহাওয়া দপ্তর, কখনও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও কখনওবা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ।
‘২০ মে সকাল বৈরী আবহাওয়া, সাথে বৃষ্টি। ছুটে যাই মেঘনা তীরঘেষা তুলতলী বাঁধ এলাকায়। সেখানে সহকার্মি আদিল হোসেন তপু ও মেসবাহ উদ্দিন শিপু উপস্থি ছিলেন। তুলাতলীতে তখন মাইকিং করছিলো সিসিপি ও রেডক্রিসেন্ট। তাদের নিউজ কভারেণ করে পাঠাই।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল, দিনভর ভীরী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া, আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানতে পারি সতর্কতা সংকেত বাড়ানো হয়েছে। সন্ধ্যায় আরো ভয়াবহ পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়, ৫ নাম্বার থেকে ৭ নাম্বার বিপদ সংকেত। বলা হচ্ছিল ২১ মে দুপুরের মধ্যে আঘাত হানবে ‘রোয়ানু’।
অফিসের কাজ শেষে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই ১১টায় বাসায় ফিরে ল্যাপটব অন করে ইন্টারনেটে সংযোগ লাগিয়ে অনলাইন মাধ্যমে আবহাওয়া ও দুর্যোগ সংক্রান্ত সংবাদগুলো পড়ছিলাম। সময় বাড়ার সাথে সাথে আবাহওয়া আরো বেশী ভয়াবহ হতে লাগলো। রাত ১২টার দিকে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। চোঁখে ঘুম নেই, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরের বাসিন্দারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছি, একই সাথে যোগাযোগ রাখছি উপজেলা প্রতিনিধি সহকর্মী ভাইদের সাথেও। তাদের অনুরোধ করি খবরগুলেঅ তাৎক্ষণাত আমাকে জানানোর জন্য। মনে মনে ভাবছি ‘কিছু না ঘটলেও কিছু একটা হতে যাচ্ছে তা গভীর রাতের পরিবেশ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।
নির্ঘূম চোখে দেখতে পাই রাত আড়াইটা শুরু হলো মহা দুর্যোগ। অন্যদিকে সারাদিনের ক্লান্তিতে দু’চোখ এক হয়ে আসছে। হঠাৎ করেই ঘুমিয়ে পড়লাম। রাত তখন সাড়ে ৩টা’ কি ৪টা। মোবাইল ফোন বেজে উঠলো, হাতে নিয়ে দেখি দেশ টিভি থেকে ফোন। রিসিভ করতেই নিউজরুম থেকে বললো, আপনার এলাকায় ঝড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে, সময় টিভি ব্রোকিং দিয়েছে, খোঁজ নিয়ে তাড়াতাড়ি নিউজ পাঠান। আমি আর কিছুই জিজ্ঞাসা করার সুযোগ পেলাম না। তাৎক্ষণিক সময় টিভির প্রতিনিধি নাসির লিটন ভাইকে ফোন দিলাম। তিনি বললেন, তজুমদ্দিনে প্রচ- ঝড় হয়েছে সেখানেই ঘরচাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আমি প্রশ্ন করলাম যার কাছ থেকে তথ্যটি নিশ্চিত হয়েছেন তার নম্বরটা একটু দেন। তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তার নম্বর দিলেন।
আমি ফোন কেটেই ত্রাণ কর্মকর্তাকে কল দিলাম, তিনি তখন কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে ছিলেন। তার কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে টেলিভিশনে ট্রিকার দিলাম এবং বাংলানিউজে মোবাইলে বিস্তারিত জানালাম’।
রাত ৪টা থেকে ৩০ হবে। কিছুক্ষণ পর একুশে টিভির মেসবাউদ্দিন শিপু ভাই এবং পরে হোসাইন সাদী আমাকে ফোন দেয়, তাদের সাথে নিউজ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হয়। তার পর সিনিয়র সাংবাদিক ইন্টিপেনডেন্ট’র নজরুল হক অনু ভাই কল দেন। তাকে বলি তজুমদ্দিনে অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে খুব ভোরে সেখানে যেতে হবে। তিনিও রাজী হন।
এরপর শিপু ভাই, একাত্তর টিভির কামরুল ভাই ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের তপুকে নিয়ে খুব দ্রুত তজুমদ্দিন যাওয়ার পরিকল্পনা করি’।
ভোর ৫টা হবে, তখনও ঝড়-দুর্যোগ, সাথে ভারী বর্ষণ। তখন ‘ভোলা টাইমস’ সম্পাদক রাজীব ভাই দেশের বাইরে। ইমুতে ফোন দিয়ে তাকে ভোলার সর্বশেষ খবর জানাই। তিনি বললেন, সাবধানে যান, সম্ভব হলে তথ্য দিয়েন, আমি প্রস্তুত আছি।
২১ মে, ভোর সোয়া ৫টা কিংবা সাড়ে ৫টা। বাসা থেকে বের হলেও রাস্তায় বৃষ্টি কারণে নেই কোন রিক্সা কিংবা অটো পাচ্ছিলাম না। অন্যদিকে ঝড়ো বাতাস চলছে। অন্যদিকে কে জাহান মার্কেটে মাইক্রোবাস অপেক্ষমান। সবাই বিরক্ত, কেন এখনও আসছি না, বললাম আমার সমস্যার কথা, এক পর্যায়ে শহরে এলাম, তখন ৬টায় ২০ মিনিট হবে। নিউজ পাঠানোর কাজ নিয়ে ব্যস্ত কামরুল ভাই ও তপু।
পৌনে ৮টার দিকে গন্তব্য তজুমদ্দিন, সাথে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির নজরুল হক অনু, মাছরাঙ্গা টিভির হাসিব রহমান, একাত্তর টিভি’র কামরুল ইসলাম, একুশে টিভির মেসবাহ উদ্দিন শিপু এবং আমি। আমাদের সাথে ছিলেন ক্যামেরা জার্নালিস্ট লক্ষণ দাস। সবাই যখন মাইক্রোবাস নিয়ে তজুমিদ্দনের উদ্দেশ্যে রওনা দেই ঠিক সে মুৃহুর্তে ঝড়ের সার্বিক বিষয়ে লাইভ দিলেন একাত্তর টিভির কামরুল ভাই। যোগীরঘোল যেতো না যেতেই অনু ভাইর লাইভ, ফাঁকে ফাঁকে হাসিব ভাই, আদিল হোসেন তপু, মেজবাহ উদ্দিন শিপু ও আমার ফোনো লাইভ দেই। আগে কিংবা পরে জেলার অন্য সাংবাবিদগণও নিজ নিজ দায়িত্বে ঘটনাস্থলে রওনা দেন।
দ্রুত ফুটেজ পাঠানোর জন্য একদিকে অফিসের চাপ অন্যদিকে ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা। বাংলাবাজার পর্যন্ত যেতেই দেখা গেল রাতের ঝড়ের ধ্বংসস্তুপ। পথে পথে বড় বড় গাছ পড়ে আছে রাস্তা। মাইক্রোবাস যেতে কতবার বার সমস্যা হচ্ছে, তবুও আমরা যাচ্ছি প্রচন্ড ঝড় উপেক্ষা করেই। যে কোন মুহর্তে আমাদের গাড়িতেও গাছ পড়ে যেতে পারে। ঘটতে পারে অন্য দুর্ঘটনা। কিন্তু আমাদের যেতেই হবে….। কোনক্রমে বোরহানউাদ্দিন পর্যন্ত গিয়েই সীমাবদ্ধ। কারণ, পথে পথে ঝড়ের স্তুপ, বড় বড় গাছ পরে রয়েছে, আর যাওয়া সম্ভব না, সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ, সড়কে বাসের দীর্ঘ লাইন। মানুষের ভোগান্তি।
বিকল্প ব্যবস্থায় শিপু ভাইর মোটরসাইকেলে ঝড় উপেক্ষা করেই রওনা দেই তজুমদ্দিনের উদ্দেশ্যে। তার সাথে ছিলেন তার একজন ক্যামেরাম্যান। একটি বাড়তি রেইনকোট ছিলো, ওদের কাছেই সেটি সংগ্রহ করে আমি আর শিপু ভাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমস্ত পথ ভীজে ভীজে দুপুর সাড়ে ১২টায় তজুমিদ্দনে গিয়ে পৌছি। পুরো শরীর ভীজে রয়েছে। চোখ-মুখ লাল হয়ে আছে। পথচারীদের কেউ কেউ বলে উঠলেন, এতো ঝড়ের মধ্যে কেউ কি বের হয়।
তজুমদ্দিনে গিয়ে দেখলাম ঝড়ের তান্ডব লীলা, এমন কোন বাড়ি নেই যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। ক্ষতিগ্রস্থদের আহাজারি আর কান্না। ক্ষুদার্থ শিশুর কান্না। রাস্তাঘাট বন্ধ, গাছ পড়ে আটকে আছে। গাছের সাথে ঝুলে আছে টিনের চালা। এরমধ্যে মোট তিনজনের মৃত্যু সংবাদ অফিসে জানালাম। পাঠালাম কার্গো ডুৃবির খবরও।
তজুমিদ্দনে প্রবেশ মুখেই দেখা বন্দু সাংবাদিক নুরুন্নবীর সাথে, তার কাছ থেকে ক্ষাতিগ্রস্থ এলাকার বিবরণ জেনে নেই। এবার অফিস থেকে ফোন ঝড়ের সার্বিক পরিস্তিতি জানানো এবং দ্রুত ফুটেজ পাঠানোর দির্দেশ। প্রচন্ড বৃষ্ট হচ্ছে, ফুটেজ নেয়া দুস্কর হয়ে পড়ছিলো। তবুও স্থানীয় এলাকার মানুষের কাছ থেকে একটি ছাতা সংগ্রহ করে সেই ঝড়ের মধ্যেই ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহ করি। কিছুক্ষণ পরেই অফিসের ফোন’ দুপুরে দেড়টার মধ্যেই এজলাইভ দিতে হবে। সাথে ঝড়ের ফুটেজও। ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষাতকার গ্রহণ করে এখন খুঁজছি কোথায় বসে সংবাদ তৈরী করবো।
ঝড়ে তজুমদ্দিন সকল দোকান-পাঠ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। শিপু ভাইর সহযোগীতায় ডাকবাংলা সংলগ্ন সড়কে ধ্বংস স্তুপের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে টিভির এজলাইভ দিলাম। এখন সংবাদ পাঠানোর বিকল্প উপায় খুঁজে পাচ্ছিনা। হঠাৎ করেই মনে হলো থানায় গিয়ে অবস্থান করার কথা। সেখানে গিয়েই আগে ফুজেট পাঠালাম এবং পরে সংবাদ লিখলাম। ২টায় ওই নিউজ কভার করলাম। শরীর ভেজা, জিন্সের প্যান্ট, গেঞ্জি ভীজে আছে। একটু শীত অনুভব করছি’ সারাদিন কিছু খাইনি তা মনেও ছিলনা, থেকে থেকে শরীর কাপছে।
দুপুর আড়াইটা। ৭ নম্বর বিপদ সর্কেত, তখন ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু উপকূল অতিক্রম করছিলো। এ সময় ঝড়ো বাতাস, সাথে বৃষ্টি। এতসব সংকটের মধ্যেও আমাদের ভাগ্য সহায় ছিলো বলা চলে’ কারণ, আমার লেপটব ও ক্যামেরা ভিজেনি। এরই ফাকে আফিসের ফোন। ঝড়ের সর্বশেষ খবর নিয়ে বিস্তারিত ফুটেজ এবং এজলাইভ দিতে হবে বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যেই। বিকাল ৪টায় সংবাদে তা অনএয়ার হবে। কি আর করা, সেই দুর্যোগ উপেক্ষা করেই শুরু হলো আবারো সংবাদ সংগ্রহের কাজ। আমি অল্প কিছুক্ষণ যতটুকু বিধ্বস্ত এলাকায় ঘুরেছি, দেখেছি চারদিকে ঝড়ের স্তুপ। তজুমদ্দিনের বালিয়া কান্দি, শশীগঞ্জ, চাঁদপুর, মহাজন কান্দি ও ভুলাইকান্দি। ঘরগুলো মিশে আছে মাটির সাথেই, গাঠপালা উপড়ে গেছে।
সাড়ে ৩টায় তজুমদ্দিনের সাংবাদিক রফিক সাদী ভাই সহযোগীতা নিয়ে সংবাদ তৈরী কাজ শেষে এবার রিপোর্ট পাঠাতে গিয়ে পড়লাম আকে বিপাকে। নেই বিদ্যুৎ, ওদিকে ল্যাবটবের চার্জ শেষ, কি করা যায়। এক পর্যায়ে জানলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। জেনেই ছুটে যাই সেখানে। ওই কার্যালয়ে পৌনে ৪টার মধ্যে সব বিস্তারিত জানাই। কারেন্ট ইভেন্টের একদম শেষের নিউজ ছিলো ‘ঝড়ে ল–ভ- ভোলায় নিহত-৩, বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ । সেখানে আমাদেরে সহকর্মী ভাইরাও ছিলেন। পরে একটি পুণাঙ্গ প্যাকেজ তৈরী করি। পরেরদিনও ঝড়ের সংবাদ প্রচার হয়েছে।
ঝড়ের সন্ধ্যা, এবার ফেরার পালা, পেটে প্রচন্ড খুদা। একটি দোকানে গিয়ে একটি পুড়ি,একটি কলা জুটলো। পরে মোটরসাইকেল যোগে শিপু ভাইর সাথে ভোলায় যাত্রা। পৌনে ৬টায় অফিস থেকে ফোন, ঝড়ের সর্বশেষ ফোনোলাইভ দিতে হবে। বোরহানগঞ্জ বাজারে এসে ফোনোলাইভ দিলাম। রাত ৯টায় এসেই জেলা প্রশাসকের ইন্টারভিউ নিলাম। রাতেই রিপোর্ট তৈরী করে পাঠালাম, সকাল থেকে প্যাকেজ প্রচার হলো।
২৩ জুন বরিশাল থেকে ডেইলিস্টারের রিপোর্টার জুয়েল ও ফটো করেসপন্ডেন্ড আরিফ ভাইর সাথে তজুমদ্দিনের বিপন্ন পথে পথে ঘুরে মানবিক রিপোর্ট করেছি। টানা এক সপ্তাহ জুড়ে তজুমদ্দিন টু ভোলা যাওয়া আসা হচ্ছিল। এরই মাধ্যে ৩দিন পর যোগ দিলেন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আবু খালিদ ভাই, তাকে নিয়ে বিপন্ন এলাকায় রিপোর্ট করি। নিহত ও নিখোঁজের স্বজনদের আহজারি দেখেছি, ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কান্নায় চোঁখের জল ধরে রাখতে পারিনি’।
সর্বশেষ ২৫ জুন আমাদের প্রেসক্লাব সম্পাদক সামস উল আলম মিঠু ভাই’র নেতৃত্বে দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রীর নিউজ কভারেজ করতে যাই তজুমদ্দিনে। নিউজ কভারেজ শেষে ভোলা ফিরেই, জানতে পারি চরফ্যাশনে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে বাবা-ছেলের করুন মৃত্যু। ওই নিউজ পাঠাই।
বিধ্বস্ত তজুমদ্দিনের মানুষ এখনও ঘুরে দাড়াতে পারেননি, যারা চেষ্টা করছেন তাদের এ ক্ষত কাটিয়ে উঠতে কত দিন লাগবে তা ক্ষতিগ্রস্থরাও জানেন।
আমরা যারা উপকূলে সাংবাদিকতা করি, তাদের প্রতি মুহুর্তে ঝূঁকি নিতে হয়, আসলে আমাদের পেশাগত জীবটাই এমনই। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের খবর তুলে আনতে জীবন বাজি রাখতে হয়।
লেখক: জেলা প্রতিনিধি, দেশ টিভি ও বাংলানিউজ, ভোলা।