রবিবার ● ২২ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » রোয়ানুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মনপুরার মানুষ
রোয়ানুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মনপুরার মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার: তিন পাশে মেঘনা আর দক্ষিণ প্রান্তে কূলহীন বিশাল বঙ্গোপসাগরের বেষ্টনী দ্বারা আবদ্ধ ভোলা জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা। প্রায় লক্ষাধিকের বেশী মানুষের বসবাস এই দ্বীপটিতে। হাসি-আনন্দে বছরের ছয় মাস ভাল কাটলেও বাকি ছয় মাস থাকতে হয় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আতংকে। দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য জেলাগুলার মতই সিডর, আইলা, সুনামি, সহ বড় দুর্যোগগুলাও প্রতি বছরই হানা দিয়ে যায় এই দ্বীপটিকে এবং নিম্মবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পরিবারগুলো কেউই রেহাই পায়না এর দানবীয় থাবা থেকে। দুর্যোগ শেষে নিঃস্বতার বোজা মাথায় নিয়ে বয়ে বেড়াতে হয় অনেকের। তাইতো প্রতিবারের ন্যায় আবারো রোয়ানোর প্রভাবে দ্বীপ মনপুরার এই মানুষগুলো ক্ষতি গ্রহস্ত হয়ে পরে।
৯০ শতকের পরের দিকে এইসব বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় রেড ক্রিসেন্ট, কারিতাসসহ বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসে এবং নির্মাণ করে বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র। সেই সময়ের দুর্যোগগুলোর সময় মানুষের জান-মালের হেফাজত করতে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটি করা হত এবং পর্যায়ক্রমে দুর্যোগ মোকাবেলা বিষয়ক নানা প্রশিক্ষণ দেয়া হত স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের। ফলে দুর্যোগকালীন সময়ে অইসব স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা মানুষের জান-মাল রক্ষার্থে ঝাঁপিয়ে পরতেন মাঠ পর্যায়ে। দুর্যোগের আগ মুহূর্ত হতে কেউ মাইকে দুর্যোগ বার্তা প্রচার করত কেউ আবার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াসহ সকল সাহায্যে এগিয়ে আসতেন কিন্তু বিংশ শতাব্দীর পরের দিকে আস্তে আস্তে পর্যায়ক্রমে তাদের এই মহৎ কার্যক্রমে অনেক ভাটা পরে যায়। এমনকি কালের বিবর্তনে ও পুনঃনির্মাণ না করার কারনে মনপুরার অনেকগুলো আশ্রয় কেন্দ্রই বর্তমানে পরিত্যাক্ত ও ঝুকিপুর্ণ। তাই ভাল কোন আশ্রয় কেন্দ্র ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারী-বেসরকারী কোন সংস্থার সাহায্য না পাওয়াতে দুর্যোগ কালীন মৌসূমে খুব একটা আতংকে থাকেন এই অঞ্চলের মানুষ বিশেষ করে বেশী শঙ্কায় দিন কাটান নিম্ম শ্রেণীর ও নদীর পারে বসবাসরত হত দরিদ্র মানুষগুালা। যদিও দুর্যোগ শেষে কিছু কিছু সংস্থা সামান্য ত্রাণ নিয়ে হাজির হয় দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে কিন্তু এতে কতটুকুই বা ক্ষতি পুরন তাদের ?
গতকাল ঘুর্নিঝড় রোয়ানোর খবর শোনার পর মনপুরার সাকুচিয়া ইউনিয়নের পূর্ব প্রান্তে মেঘনা নদীর তীরাবস্থিত কয়েকটি জনবসতিতে। এবং সেখানকার দরিদ্র পরিবারগুলোর সাথে কথা বলার পর তারা জনান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানোর খবরে তারা খুবই আতঙ্কিত। তাই এমত অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানো মোকাবেলায় সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে জোর দাবি জানান।