শুক্রবার ● ২০ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দর্শক শূন্যতায় সিনেমা হলগুলো হারিয়ে যাচ্ছে
দর্শক শূন্যতায় সিনেমা হলগুলো হারিয়ে যাচ্ছে
লালমোহন প্রতিনিধি: এক সময় বিনোদনের জন্য সিনেমা হলগুলো জাকজমক ছিলো। কাজের পাকে সময় হলে ভিড় করতো বিনোদন প্রেমীরা। আজ কালের বিবর্তনে বিনোদন শিল্প থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এ সিনেমা হল গুলো।
জানা গেছে, লালমোহন উপজেলায় ২০০১ সালেও সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ৫ টি। এর মধ্যে ৪টিই বন্ধ হয়ে গেছে। দর্শক শূন্যতার কারণে বাকি সিনেমা হলটাও বন্ধ হওয়ার পথে।
পৌর শহরের ৩ টি সিনেমা হলের মধ্যে মধুছন্দা ও বিনোদন সিনেমা দু’টিই বন্ধ হয়ে গেছে। চালু রয়েছে শুধু মাত্র লালমোহনী সিনেমা হলটি। এর আগে ইউনিয়ন পর্যায়ে গজারিয়ার পদ্মা ও মঙ্গল সিকদার বাজারে অবস্থিত মেঘনা সিনেমা হলটিও বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হওয়া সিনেমা হলের স্থানে এখন বিপণীবিতান, ব্যাংক, অফিস, মুদি দোকান, হোটেল, সেলুন সহ নানান রকমারী ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস গড়ে তোলা হয়েছে। জনশ্রুতি রয়েছে সিনেমা হলগুলোর স্থানকে লালমোহনের নতুন প্রজন্মের শিশুদের জানিয়ে দেয়া হয় এখানে সিনেমা হল ছিল। নতুন প্রজন্মের শিশুরা তাদের কৌতূহল সূত্রে নানান প্রশ্ন ছড়িয়ে অভিভাবকদের কাছে। কালের বিবর্তনে নতুন করে এ ব্যবসায় কোন লোক আর অর্থ বিনিয়োগ করে হল নির্মাণ করে এ ব্যাবসা করতে আগ্রহী হচ্ছেনা। ফলে লালমোহনের সিনেমা হলের এক সময়ের যে রমরমা দর্শক ছিল এবং দর্শকমনে বাংলা ছবি দেখার জন্য ভরাডুবি উৎসাহ-উদ্দীপনার ছিল তা সময়ের নির্মম পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে অচিরেই। অপরদিকে পাশ্ববর্তী চরফ্যাশনের ৩ টি সিনেমা হলের মধ্যে চালু রয়েছে মাত্র ২ টি। তাও দর্শক শূন্যতার কারণে সিনেমা হলগুলো যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। নতুন প্রজন্ম সিনেমা হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এসব স্থানে এখন গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন ও বিপণিবিতান। এ ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সমাজের সকল পেশার মানুষের যৌথ প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসার প্রয়োজন বলে মনে করেণ সাংস্কৃতিক প্রেমীরা।
সাংস্কৃতিকব্যক্তিত্ব কবি রিপন শান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেইসবুক আবিষ্কার হওয়ায় এখন আর কেউ সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে চায় না। ঘরে বসেই তা আনায়াসে স্বল্পখরচে দেখতে পারছে। এবং ইন্ডিয়ান চ্যানেল গুলোও বাংলাদেশের এই চির ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে নষ্ট করতে চাইছে। তবে সকলের প্রচেষ্টায় আবহমান বাংলার এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে বলে মনে করেন।