শনিবার ● ৩০ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বোরহানউদ্দিনে পরকিয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক গামেন্টর্স ব্যবসায়ী
বোরহানউদ্দিনে পরকিয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক গামেন্টর্স ব্যবসায়ী
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার উদয়পুর রাস্তার মাথার গামেন্টর্স ব্যবসায়ী ফরিদ (৩০) টবগী ২নং ওয়ার্ডে ইব্রাহিমের স্ত্রী’র সাথে পরকিয়া করতে এসে জনতার হাতে আটকা পরেন। অতপর ফরিদের গলায় জুতার মালা দেন উৎসুক জনতা। শুক্রবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। রাতভর নানা দফারফা শেষে ফরিদের আত্মীয় শাহিনের জিম্মায় ছেড়ে দেন স্থানীয় মোড়লরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উদয়পুর রাস্তার মাথায় ফরিদ শুক্রবার রাত অনুমান ১১ ঘটিকায় সময় ইব্রাহীমের স্ত্রী এক সন্তানের জননীর সাথে পরকিয়া করতে এসে স্থানীয় জনতা হাতে নাতে ঘরে আটকা পরেন। এর পর উৎসুক জনতা তার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পর হাজির হন ফরিদের আত্মীয় শাহিন ও আবু তাহের মেম্বার সহ এলাকার লোকজন। শাহিনের আত্মীয় ফরিদ হওয়ার সুবাদে ঘটনাটি রাতের আধারেই ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে তিনি। এঘটনার পর ইব্রাহীম তার স্ত্রীকে নিবে না বলে শালীসরা বলেন এ মহিলাকে ফরিদ বিয়ে করতে হবে। ফরিদ তার স্ত্রী সন্তান থাকার অজুহাত দেখায়। এরপর শালীসরা রায় দেন এ মহিলাকে অন্যত্র বিবাহ দিতে হলে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এতে ফরিদ নাকি ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। এ দফারফা করতে গিয়ে রাতে শেষ প্রান্তে এসে পৌছায়। অতঃপর শাহিনের জিম্মায় ফরিদকে ছেড়ে দেন মোড়লরা। যদিও অভিযোগ উঠে ১ লক্ষ টাকা দফারফা শেষে এঘটনাটি রাতেই ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে ফরিদের পরিবার। এঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। এদিকে একের পর এক এবাবে পরকিয়ার ঘটনায় ভিকটিমরা পার পেয়ে যাওয়ায় ক্রমান্বয়ে সমাজে পরকিয়ার ঘটনা বেড়িয়ে চলছে। এ সকল ঘটনা থেকে সমাজ কে মুক্তি করতে হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করতে হবে। এ ঘটনার পর থেকে ফরিদের উদয়পুর রাস্তার মাথার গামেন্টের্সে দোকানটি সারা দিন বন্ধ ছিল।
এব্যাপারে গামেন্টের্স ব্যবসায়ী ফরিদের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে আলাপ করার চেষ্টা করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোনটি কেটে দেন।
সাবেক ইউপি মেম্বার আবু তাহের বলেন, ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ফরিদকে মেয়েটিকে বিয়ে করতে বলা হলে তিনি তার স্ত্রী সন্তানের জন্য রাজি হয়নি। তাই শালীসরা মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দিতে ১ লক্ষ টাকা ধার্য করেন। কিন্তু ফরিদ ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। এরপর কি হয়েছে আমি আর জানি না।
এব্যাপারে ফরিদের আত্মীয় শাহিনের সাথে তার মুঠোফোনে আলাপ করার চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।