রবিবার ● ১৭ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বড় বাধাঁ: তোফায়েল
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বড় বাধাঁ: তোফায়েল
ঢাকা : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন,যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারাই এ দেশের অগ্রযাত্রাকে মেনে নিতে পারছে না।রোববার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, যারা মানবাধিকারের লংঘনের কথা বলে তাদের দেশেই সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লংঘিত হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংসের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশ ও দেশের বাইরে এখনও বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্ত চলছে। ২০১৪-১৫ সালে লাগাতার নাশকতা করে যারা মানুষ হত্যা করে মানবাধিকার লংঘন করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টে তাদের কথা উল্লেখ নেই।তোফায়েল আহমেদ বলেন, পঁচাত্তরের পর বিএনপি-জামায়ত জোট স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্বাধীনতার চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে বারবার। কিন্তু সে চেষ্টা সফল হয়নি। এদিকে,ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রোববার সকালে বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। হাজার হাজার নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে সকালে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সংলগ্ন সড়ক ও আশ-পাশের এলাকা।সূর্য ওঠার সাথে সাথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং সর্বরের মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পূর্বপ্রান্তে মিরপুর সড়কে জড়ো হতে থাকেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজার হাজার নারী-পুরুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জামায়াত শিবির রাজাকার এই মুহুর্তে বাংলা ছাড় মুজিবের বাংলায় খুনিদের ঠাঁই নাই, শ্লোগান। এসব শে�াগানে এলাকার আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। সকাল ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী এসময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ, প্রতিমন্ত্রীগণ এবং দলীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।পরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পবক অর্পণ করেন।প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা ত্যাগ করার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বরের মানুষ সারিবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, স্বেছাসেবক লীগ মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর, যুবলীগ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ছাত্রলীগ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ছাত্রলীগ ঢাকা কলেজ শাখা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।