বৃহস্পতিবার ● ৭ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » নাজিউর রহমান মঞ্জু মৃত্যু বার্ষিকী পালিত
নাজিউর রহমান মঞ্জু মৃত্যু বার্ষিকী পালিত
স্টাফ রিপোর্টার • আধুনিক ভোলার রুপকার মরহুল নাজিউর রহমান মঞ্জুর ৮তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভোলা জেলার বিজেপি ব্যাপক কর্মসূচী পালন করেছেন জেলা বিজেপির নেতারা। ৬ অক্টোবর সকাল ৭টায় জেলা বিজেপি অফিসে কাল পতাকা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সকল নেতা কর্মীরা কাল ব্যাচ ধারন করেন। সকাল ১০টা মরহুমের মাজারে পুষ্পমাল্য ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১ টা ভোলা জেলা বিজেপি অফিস মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিকাল ৫ টায় উকিল পাড়া শান্ত নীড়ে মিলাদ ও দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মরহুল নাজিউর রহমান মঞ্জুর পতœী রেবা রহমান,বড় ছেলে আ্নদালিভ রহমান পা্থ, মেঝো ছেলে ড. আশিকুর রহমান শান্ত ও তার ছোট ছেলে ব্যারিষ্টার ওয়াশিকুর রহমান অঞ্জন, ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃণ্দ সহ ভোলা শহরের সর্বস্তরের জনগণ । ভোলার কৃতি সন্তান মরহুম নাজিউর রহমান মঞ্জু। তিনি ১৯৪৮ সালে ৩০শে জুন ভোলা ঐতিহ্যবাহী বালিয়া মিয়া বাড়ীতে মিয়া পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন এবং ২০০৮ সালের ৬ই এপ্রিল তিনি লিভারে সমস্যা জনিত কারনে মাত্র ৬০ বছর বয়সে ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান।
প্রাক্তন এলজিআইডি মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সফল মেয়র ও আধুনিক ভোলার রুপকার মরহুম নাজিউর রহমান মঞ্জু ১৯৪৮ সালের ৩০ শে জুন বালিয়াতে ভোলার ঐতিহ্যবাহী মিয়া পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতা মরহুম বজলুর রহমান মিয়া। ৪ ভাই এর মধ্যে তিনি ২য়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এম.কম পাস করেছেন। প্রথম জীবনে মতিঝিলে তিনি এশিয়াটিক ট্রাভেলের সাথে জড়িত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। রাজনীতির ক্ষেত্রেও তিনি ছিলন সফল। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন। ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মাস সংসদের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সদস্য ও হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের ১৮ দফা বাস্তবায়ন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তৎকালীন সময়ে জাতীয় পার্টি (জাপা)’র মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চারদলীয় ঐক্য জোটের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) শরীক দল ছিলেন। তাছাড়াও ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ঢাকা সিটিকর্পোরেশনের পূর্বে নাম ছিল ঢাকা মিনিসিপাল কর্পোরেশন তা পরিবর্তন করে তার নাম দেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দেন। এরশাদের আমলে তিনি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় দফতরের মন্ত্রী। তিনি ভোলা জেলার সকলের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর জনহিতকর কর্মকান্ডে ছোঁয়া পায়নি এমন এলাকা খুবই বিরল। তাঁর ভক্তরা তাঁকে কখনো “হাতেম তাই” বলে সম্বোধন করতো। নিজের অর্থে নির্দিষ্ট সময়ে তিনি ব্যাপকভাবে জনসেবামূলক কাজ করেছেন যার জুড়ি মেলা ভার। তাঁর আশা আকাঙ্খা ছিল অনেক। বলেছিলেন, ‘সুযোগ পেলে আমি ভোলাকে সিঙ্গাঁপুর বানিয়ে ছাড়ব। তার কথার সাথে কাজের মিল রেখেই এগিয়েছেন তিনি। ভোলার উন্নয়নের স¦ার্খে নিয়ে ছিলেন নানা রকম পরিকল্পনা। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়নও করেছেন অনেক কাজ।