বৃহস্পতিবার ● ৩১ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় নির্বাচনি সহিংসতায় সাংবাদিক সহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ, আহত ৫০
ভোলায় নির্বাচনি সহিংসতায় সাংবাদিক সহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ, আহত ৫০
এস.ইউ সোহেব: ভোলায় কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ব্যালট ছিনিয়ে ভোট প্রয়োগ, হামলা ও সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে ১২ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়ে। নির্বাচন চলাকালীন পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিক সহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ ও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
সরেজমিনে কয়েকটি কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের কেন্দ্রেগুলোতে বিএনপি ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে ভোট প্রয়োগ সহ আ’লীগ মনোনিত প্রাথীর এজেন্টের সামনে ভোট দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সকাল ৯টার পর থেকে বিকাল ৪টা একই রকম চিত্র দেখা গেছে লালমোহনের বদরপুর ও রমাগঞ্জ ইউনিয়নের অধিকাংশ কেন্দ্রগুলোতে। আবার অনেক ভোট কেন্দ্রের আওয়ামীলীগ সমর্থিত পার্থীর এজেন্ট ছাড়া বিএনপি সমর্থিত এজেন্টেদেরকে মারধোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসকল অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে ভোলা সদরের পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপির মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সিরাজ উদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্মৃতি বেগম দুপুরের আগেই ভোট বর্জন করেছেন । এছাড়া ভোলা সদরের পূর্ব ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সিতারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দু’ই মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালালে সাংবাদিক সহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধরা হলেন, জাকির হোসেন, বাগন আলী, রমিজ, মাকসুদ, তাসলিমা ও মাজেদা সর্দার। এছাড়া দুপুর ১২ টার দিকে আ’লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজান খাঁ ও আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মিঠু চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা সংর্ঘষ হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রনের জন্য কয়েক রাউন্ট টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও পরে গুলি ছোঁড়েন। এসময় এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার আফজাল হোসেন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে লালমোহনের রমাগঞ্জ ও বদরপুর মনপুরার উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া, চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জ, আবদুল্লাহপুর, আবু বক্করপুর, চর মানিকা ও রসুলপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীরদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসকল ইউনিয়নের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে হয়েছে আ’লীগ সর্মথিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টের সামনে। তার কারণে বাধ্য হয়ে অনেক ভোটার নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নৌকায় প্রতীকে ভোট দিতে হয়েছে বলে একাধিক ভোটার সূত্রে জানা গেছে। আবার কিছু কিছু কেন্দ্রে জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে ভোট প্রয়োগ করা সহ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত্য আরো ৩০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
ভোলা পুলিশ সুপর মোহাঃ মনিরুজ্জান বলেন, ভোট গ্রহণে সময় কিছু বৃশিঙ্খলা সৃষ্টি হলে পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রনে পুলিশ কয়েক রাউন্ট টিয়ারসেল ছোঁড়েন ।