মঙ্গলবার ● ২৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বীরের আত্মত্যাগ তবুও সুবিধা বঞ্চিত হাজিপুরবাসী
বীরের আত্মত্যাগ তবুও সুবিধা বঞ্চিত হাজিপুরবাসী
মনিরুজ্জামান মহিন, দৌলতখান • দ্বীপ জেলা ভোলার দৌলতখান উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে ২০ কিলোমিটারেরও বেশী দুরত্বে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন চর হাজিপুর। এই ভূমিতেই জম্মেছিলেন দেশের ৭জন বীর শ্রেষ্ঠের ১ জন। তিনি শহীদ সিপাহী বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল। মহান এই বীরের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পরাধীনতার হাত থেকে লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেও উন্নয়ন এবং আধুনিকতার কোন সুবিধা এনে দিতে পারেননি নিজ জম্মভূমির মানুষকে।
দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে মেঘনার ভাঙনে ক্রমশই ছোট হয়েছে এই ইউনিয়নের মানচিত্র। বাড়ি ঘর হারিয়ে মানুষের সৌভগ্য পরিণত হয়েছে দুর্ভাগ্যে। সর্বস্ব হারানোর ভয়ে অনেকেই বাসস্থান সরিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
ধাপে ধাপে দেশের উন্নয়ন হলেও অনুন্নত জীবনের বেড়া জাল ছিড়ে বেড়িয়ে আসতে পারেনি হাজিপুরের মানুষ। নেই কোন আধুনিক কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা। নেই বৈদ্যুতিক সুবিধা, গভীর নলকুপ চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। এই ইউনিয়নে মাত্র ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও নেই মাধ্যমিক স্তরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যে কারনে অনুন্নতই রয়ে গেছে এই ইউনিয়নের মানুষের ভাগ্য। প্রতি বছর শুকনো মৌসুম আসলে বিশুদ্ধ পানি এবং নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে ছড়িয়ে পড়ে ডায়রিয়ার মত রোগ জীবানু। যাতায়াতের সুবিধা না থাকার কারনে কোন সরকারী চিকিৎসক সেবা দিতে যান না ঐ এলাকায়। যার ফলে প্রতি বছরে অকালেই ঝড়ে যায় অনেক প্রাণ। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলে মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে হয় এখানকার মানুষের।
ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পেতে এই এলাকায় আধুনিক ৩টি সুউচ্চ ভবন নির্মান করেছেন বর্তমান সরকার।
হাজিপুরের জনগন বলেন, একজন বীরশ্রেষ্ঠ এই ভূমির সন্তান হওয়া সত্বেও তার কোন স্মৃতি চিহ্ন নেই এখানে। মোস্তফা কামালের নামে নাম করন করা হয়নি কোন প্রতিষ্ঠান বা ভবনের। এটা আমাদের জন্য চরম দূভার্গ্যের।