শুক্রবার ● ২৫ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নে ইউপি সদস্যদের পুণঃনিবার্চনের দাবি
ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নে ইউপি সদস্যদের পুণঃনিবার্চনের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার: গত ২২ মার্চের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রার্থীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, কেন্দ্র দখল, ভোট ছিনতাইসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোলা বাপ্তা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে পুণঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন পরাজিত মেম্বার প্রার্থীরা।
শুক্রবার বিকালে ওই এলাকার মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থরা এই নিবার্চনকে বজর্ন করে পুনরায় বাপ্তা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ২৮ নং সরদার বাড়ী সরকারি বিদ্যালয়ে কেন্দ্র পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এক অভিযোগে মেম্বার পদে পরাজিত প্রার্থী জিয়াউল হক বাবুল (মোরগ), জাহাঙ্গির আলম (আপেল), জসিম উদ্দিন (টিউবয়েল) মো.শাহজাহান (ফ্যান), মো. বিল্লাল (তালা) প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, নিবার্চনের দিন বিজয়ী প্রার্থী নরুল ইসলাম কসাই নৌক প্রতীকের এজেন্ট আমাদের সকল মেম্বার প্রার্থীদের এজেন্টদেরকে বের করে দিয়ে জাল ভোট দিয়ে সে বিজয়ী হয়েছে।
শুধু তাই নয় ভোটের দিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভোটারদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে সবাইকে বের করে দেয়। আমরা আইন শৃঙ্গলা বাহীনিকে জানালেও কোন কাজ হয়নি। এমন কি ভোট শেষে আমাদের কোন প্রার্থীর কাছ থেকে স্বাক্ষর না নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে। তাই এই ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থীরা এই কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন দেয়ার দাবী জানান জেলা নিবার্চন অফিসারের কাছে।
তবে এ ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী নুরুল ইসলাম এ সকল অভিযোগ অ¯ী^কার করে বলেন, বাপ্তা ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী জিয়াউল হক বাবুল ভোটের আগ থেকে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে ভোটারদের আতংঙ্ক করে জাল ভোট পিটিয়ে কেন্দ্র দখল করে।
কিন্তু প্রশাসন এই কেন্দ্রে সুষ্ঠ শান্তি পূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ পরিচালনা করে । তখন আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী বাবলু সহ তার কর্মী সমর্থকরা আমার বিজয় নিশ্চিত দেখে কেন্দ্র দখল করার জন্য ভোট কেন্দ্রের সামনে বোমা ফুটিয়ে দখল করতে চায়।
কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচেষ্টায় তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। পরে ভোট কেন্দ্র ডুকে আমার এজেন্টদের ও সমর্থকদের মারধর করে। এখন আ’লীগের জেলার নেতৃবিন্দদের আমাদের বিরুদ্ধে ভুল বুঝিয়ে ভোলা থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। আমরা এলাকাবাসীর স্বার্থে সব হয়রীনি থেকে মুক্তি চাই।
ভোলা জেলা নিবার্চনী অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন খান বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে পুর্নঃনিবাচনের দাবীতে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে । এব্যাপরে নিবার্চন কশিনারের সাথে কথা বলে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।