ভোলায় জাল ভোট, ব্যালট ছিনিয়ে ভোট প্রয়োগ ও কেন্দ্র দখলের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন: আহত দু’ই শতাধিক

এস,ইউ সোহেব :  ভোলায় জাল ভোট, ব্যালট ছিনিয়ে ভোট প্রয়োগ,কেন্দ্র দখল, হামলা ও সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে ৩৬ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়ে। অপরদিকে বিএনপি ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে ভোট প্রয়োগ সহ আ’লীগ মনোনিত প্রাথীর এজেন্টের সামনে ভোট দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা একই রকম চিত্র দেখা গেছে অধিকাংশ কেন্দ্রগুলোতে। আবার অনেক ভোট কেন্দ্রের আওয়ামীলীগ সমর্থিত পার্থীর এজেন্ট ছাড়া বিএনপি সমর্থিত এজেন্টেদেরকে মারধোর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। লালমোহন সদর ও ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন সহ অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে হয়েছে আ’লীগ সর্মথিত এজেন্টের সামনে। তার কারণে বাধ্য হয়ে অনেক ভোটার নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোট দিতে হয়েছে । দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে লালমোহন সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পূর্ব লালমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার পদ প্রার্থী ইউসুফের নেতৃত্বে লালমোহন পৌরশহরের প্রায় ২ শতাধিক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা সাধারণ ভোটারদের উপর লাঠি ও দেশী অস্ত্র নিয়ে এলোপাথারী ভাবে হামলা করে সত্রবঙ্গ করে বিদ্যাললেয়র কেচি গেট ভেঙ্গে পুলিশ ও দায়িত্ব রত কর্মকর্তারে উপর হামলা কলে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে চিল টেকারো চেষ্টা করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিচার ও ভ্রাম্যান ম্যাজিস্ট্রে ট র‌্যাব, ও বিজিবি সদস্যরা কয়েক রাউন্ট ফাকা গুলি ও কাদানি গ্যাস ছোড়ে পরিস্তিতি নিয়ন্তন করেন। এঘটনায়  পুলিশ, সাংবাদিক সহ আন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। 

এদিকে ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন ও লালমোহনের ১১ টি ভোট কেন্দ্রে  চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের কর্মীদের সংঘর্ষে সংবাদিক সহ অনন্ত দু’ই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আটক করা হয়েছে ১৫ জনকে। এজন্য আটটি  ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। 

অপরদিকে জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, প্রভাব বিস্তার, এজেন্টদের মারধর সহ নানা অভিযোগে বিএনপির তিন ও আ’লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থী সহ পাঁচ মেম্বার প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।