শনিবার ● ২৩ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দেবরের পাশবিক নির্যাতনে হাসপাতালে ভাবি
দেবরের পাশবিক নির্যাতনে হাসপাতালে ভাবি
বিশেষ প্রতিনিধি:: ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ানে ব্যাংকের হাট পোল গরা এলাকায় টাকার জন্য দেবরের পাশবিক নির্যাতনের শিকার ভাবি (বানু বেগম) । বর্তমানে তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে । গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দেবর নুরনবী ও তার বাতিজার মিলে এমন পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটায়। এব্যাপারে ভোলা সদর থানায় নারী নির্যাতনের মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শুক্রবার ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় সাংবাদিক দের পাশবিক নির্যাতনের শিকারের বর্ননা দিতে গিয়ে বানু বেগম কন্নায় ভেঙ্গে পরেন। তিনি বলেন,আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরে স্থানীয় রতন আমার সম্পত্তী ও টাকা পঁয়সা দেখে ৫ বছর আগে আমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে রত্তন আমার কাছ থেকে টাকা নিতো। নিয়ে তার প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের দিয়ে দিত । এদেখে আমার দেবর নুরনবী আমাকে ও আমার স্বমী রত্তন কে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ৪ লক্ষ টাকা নেয় । সম্প্রতি নুরনবী আমাকে নগদ ২লক্ষ টাকা ও আমার সম্পত্তী তার নামে লেখে দেয়ার জন্য বলে। কিন্তু এতে আমি রাজি না হ্ওয়াতে বৃহস্পতিবার নুরনবী তার ভাতিজাদের নিয়ে আমার বাড়ীতে এসে আমার উপর নির্যাতন চালায়। এসময় তারা আমার শাড়ী খুলে আমার ঘোপণ অঙ্গে লাটি দিয়ে আঘাত করে থেতলে দেয়। শুধু তাই নয় আমি অজ্ঞান হয়ে পরলে তারা তাদের বাড়ীতে নিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নির্যাতন চালায়। এসময় আমার স্বামী রত্তন আমাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে তারা তাকে ও মারধর করে । পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসলে পুলিশের সহায়তায় আমার বোনের মেয়ে রাবেয়া আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানের সময় বিকালে নুরনবী নেতৃত্বে তার ভাতীজা আলী,আলমগীর,জাকির,আল-আমিন,ভাতীজি লাইজু,ফাতেমা ও আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী কহিনুর আমার উপর হামলা চালায়। তারা তিন ধাপ নির্যাতন করে বলে তিনি জানান। এদিকে রাতেই খবর পেয়ে বানু বেগমের তিন মেয়ে ঢাকা থেকে ভোলা চলে আসে তার মাকে দেখতে।
বানু বেগমে ছোট মেয়ে ইয়াছমিন বলেন, যারা আমার মায়ের উপরে এমন অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে আমারা তাদের কঠিন বিচার চাই। যাতে নারীর উপরে এমন কোন ঘটনা আর কেউ যেন এমন ঘটনা না ঘটাতে পারে। এব্যাপারে নুরনবীর সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করে ও তাকে প্ওায়া যায়নি।